নগরীর ব্যবসায়ীদের মাঝে বিন বিতরণ করলেন মেয়র ডা. শাহাদাত

চট্টগ্রাম নগরীকে “গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি, হেলদি সিটি” হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে বুধবার(১৫ জানুয়ারি) বিকেলে আন্দরকিল্লা থেকে সাব এরিয়ার ব্যবসায়ীদের মাঝে বর্জ্য সংগ্রহের বিন বিতরণ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

এসয়ম মেয়র বলেন, ” চসিক, সিডিএ, ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে কাজ করা হচ্ছে। নগরীর উন্নয়নে এই সমন্বয় ধরে রাখা হবে। তবে নগরীর ৩৬টি খাল পরিষ্কার করলেই জলাবদ্ধতা পুরোপুরি দূর হবে না। জলাবদ্ধতা নিরসনে ৫৭টি খালকে এর আওতায় আনতে হবে। জলাবদ্ধতা যদি নিরসন করতে হয় ৫৭ টা খাল কে এড্রেস করে ৫৭ টা খালকেই আপনার এই কর্মসূচিতে আনতে হবে। সর্বোপরি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এটা চারজন উপদেষ্টাকে এ বিষয়ে দায়িত্ব দিয়েছেন।

“জলাবদ্ধতার মূল কারণ পলিথিন, প্লাস্টিক, এবং ককসিট। এগুলো নালা ও নর্দমায় ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং ডাস্টবিনে ফেলতে হবে। যত্রতত্র বর্জ্য ফেলায় বর্ষায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। নগরীর দোকানগুলোর সামনে ডাস্টবিন বসানো হবে। যদি কোনো দোকানের সামনে ময়লা পাওয়া যায়, তবে সেই দোকানের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হবে। আমরা পচনশীল ভাত, মাছ, ডিম ইত্যাদি এবং অপচনশীল পলিথিন, প্লাস্টিক বর্জ্য আলাদা করার পরিকল্পনা করছি। এসব বর্জ্য রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ, জৈবসার এবং বায়োগ্যাস উৎপাদন সম্ভব। এতে বর্জ্য সম্পদে পরিণত হবে এবং যত্রতত্র বর্জ্য ফেলার প্রবণতা কমবে।”
তিনি আরও জানান, নগরীর বাজার এবং দোকানের সামনে ছোট ডাস্টবিন স্থাপন করা হচ্ছে। পথচারীদেরও খোলা জায়গায় ময়লা ফেলা থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানান তিনি। বিন বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী এবং ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহিসহ পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ।