সম্মিলিত প্রচেষ্টাই হবে হেলদি সিটি, সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন: চসিক মেয়র

৪-১৬ বছরের কিশোরীদের জন্য ফ্যিতে জরায়ু টিকা, মেমন হাসপাতালে ডেঙ্গু টেস্ট ফ্রিতে করা, পতেঙ্গা সীবিচকে আধুনিকায়ন, টয়লেট স্থাপন, পাহাড়তলীতে শহীদ ওয়াসিমের নামে পার্ক, ময়লা আবর্জনা রাতেই পরিস্কার করাসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আমি মনেকরি শুধু কথায় নয়, কাজের মাধ্যমে ক্লিন ও হেলদি সিটি গড়ে তুলবো। হেলদি শুধু পরিস্কারের মাধ্যমে হবে না সকল মানুষের সহাবস্থান, তাদের কর্মকা- এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টাই হবে হেলদি সিটি তাই সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। নগরকে প্রকৃত হেলদি সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে হলে সব ধর্মের মানুষের সহাবস্থান ও ঐক্যবদ্ধতার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহদাত হোসেন।

বৃহস্পাতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে নগরের বলুয়ারদিঘির পাড়ে পার্বতী সুহৃদ মাতার ৬৮তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত পাঁচদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের ধর্মসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ডা. শাহদাত বলেন, আমি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি মাত্র একমাস হয়েছে। এরমধ্যে আমি বেশকিছু কাজ শুরু করেছি।

তিনি বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময় আমরা সকলে মিলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় কাজ করেছি। এরফলে চট্টগ্রামে কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে ২৬ নভেম্বর এবং কয়েকটি ঘটনায় চট্টগ্রামে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। আমরা বলেছি অপরাধী যেই হোক, ছাড় নেই। অপরাধীর কোনো দল নেই, ধর্ম নেই। তবে নিরীহ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়। সব অংশীজনের উপস্থিতিতে ২৯ ডিসেম্বর একটি সম্প্রীতি সমাবেশ করবো। সেখানে সব রাজনৈতিক দল ও ধর্মের মানুষ অংশগ্রহণ করবে।

উদ্বোধকের বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকার বলেন, পতিত স্বৈরাচার সরকার শেখ হাসিনা পালিয়েছে। এ কারণে অনেকের মন খারাপ। তাই তারা দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। আমরা সকল মানুষকে নিয়ে কাজ করতে চাই। আমরা হিংসার রাজনীতি করি না। বিএনপি জনগণের রায়ের মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ দেশগঠনে সবার অংশগ্রহণে কাজ করবে।

শ্রীশ্রী ঁঅভয়মিত্র মহাশ্মশান পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আশুতোষ দে ও কার্যকরী সম্পাদক বিপ্লব পার্থের সঞ্চালনায় আর্শীবাদক ছিলৈন চট্টগ্রাম রামকৃষ্ণ মিশনের সহ সম্পাদক শ্যীমৎ কৃপারুপনন্দজী। উদ্বোধক ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকার। প্রধান বক্তা ছিলেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব এসএন তরুণ দে। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্রীশ্রী পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা লায়ন আর কে দাশ রুপু। সম্পাদকীয় বক্তব্য রাখেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ প্রিয় পাল। ধর্মীয় আলোচক ছিলেন অধ্যাপক স্বদেশ চক্রবর্তী, মাস্টার উত্তম দে, দুলাল চন্দ্র নাথ। বক্তব্য রাখেন, শ্রীশ্রী ঁঅভয়মিত্র মহাশ্মশান পরিচালনা পরিষদের কার্যকরী সভাপতি রাজীব ধর তমাল, উপদেষ্টা অরুপ রতন চক্রবর্তী সহ সভাপতি প্রশান্ত কুমার পান্ডে, উজ্জ্বল বরণ বিশ্বাস, পলাশ চৌধুরী, দীপক চৌধুরী কালু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন ঘোষ বাদশা, বাপ্পী দে, অপু চৌধুরী আকাশ, অর্থ সম্পাদক সুজন দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিপ্লব চৌধুরী বিল্লু, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মিঠুন বৈষ্ণব, আপ্যায়ন সম্পাদক জীবন মিত্র রাজ, সদস্য সুকান্ত মজুমদার, সাজু দাশ, মিঠুন দাশ, সনজু প্রমুখ।