মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গ্রেটার চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন, ইউকে’র উদ্যোগে এক আলোচনা সভা, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ট্রাস্টি মোহাম্মাদ আলী রেজা ও শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআনে তেলোয়াত করেন মিলানো জামে মসজিদের খতিব মৌলানা জোনায়েদ সোবহান।
গ্রেটার চট্টগ্রাম এসোসিয়েশনের ট্রাস্টি ব্যারিস্টার আবুল মনসুর শাহজাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা অতিথি ছিলেন লন্ডন বারা অফ বারকিং এন্ড ডেগেনহামের মেয়র কাউন্সিলর মঈন কাদেরি, নিউহাম বারার স্পিকার কাউন্সিলর রহিমা রহমান, টাওয়ার হ্যামলেটস এর স্পিকার কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন খালেদ, বারকিং এন্ড ডেগেনহাম এর কাউন্সিলর সৈয়দ ফিরোজ গনি, কেবিনেট মেম্বার ফর এনফোর্সমেন্ট এন্ড কমিউনিটি সেফটি, কাউন্সিলর মুজিবুর রহমান লন্ডন বারা অফ নিউহাম, যুক্তরাজ্য উদীচী শিল্প গোষ্ঠির সভাপতি গোলাম মোস্তফা।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা জিসিএ ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল দেওয়ান, বিশিষ্ট নাট্যকার তাপস চৌধুরী। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের উপর আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন-মেয়র কাউন্সিলর মঈন কাদেরি, স্পিকার কাউন্সিলর রহিমা রহমান, স্পিকার কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন খালেদ, কাউন্সিলর সৈয়দ ফিরোজ গনি, কাউন্সিলর মুজিবুর রহমান, গোলাম মোস্তফা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক জিসিএ উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আলামগীর ও বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান গাজী। সংগঠনের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন, ব্যরিস্টার আবুল মনসুর শাহজাহান, শওকত মাহমুদ টিপু, মোহাম্মাদ কায়সার,মাসুদুর রহমান, কুতুবুল আলম, রাজ্জাকুল হায়দার বাপ্পী, শওকত উসমান,নরুন নবী, আসমা আলম, ডাক্তার মিফতাউল জান্নাত প্রমুখ। উক্ত অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃতি করেন-লুনা তানজিনা, আসমা আলাম ও মোহাম্মাদ আলী রেজা। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বেশ কিছু সংখ্যক শিশুরা অংশ গ্রহন করেন।
পরে অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়। নুরুন নবীর সঞ্চালনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন-শম্পা দেওয়ান, নুরুন নবী, মাহবুবুল আলাম সায়েদ, শওকত মাহমুদ টিপু, মীর রাশেদ আহমেদ প্রমুখ। সভার শুরুতে মুক্তিযুদ্ধের শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সভায় বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধে বিলাত প্রবাসী বাঙ্গালীদের সাহসী ভুমিকা তুলে ধরেন। মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্ব আমাদের করনীয় নিয়ে বক্তরা স্মৃতি চারন করেন। সভায় বক্তারা প্রবাসে নুতন প্রজন্মের কাছে,নিজ নিজ পরিবারে সন্তানদের মধ্যে বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সহজভাবে তুলে ধরতে অভিবাবকদের প্রতি আহবান জানান। তারা বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে না পারলে আগামীতে প্রবাসে নুতন প্রজন্ম চিন্তা চেতনার দিক থেকে বাংলাদেশ থেকে বিছিন্ন হয়ে পড়বে।