‘লকডাউনমুক্ত এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর হবে’

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ লকডাউনমুক্ত এলাকাগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোরভাবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জনসাধারণকেও সহযোগিতার পরামর্শ দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার (৭ মে) গণভবনে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এমন অনুশাসন এসেছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা জানান।

করোনা ভাইরাস নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন কিনা- প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, হ্যাঁ। করোনা ভাইরাস নিয়ে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা হয়েছে, আমাদের সবাইকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

‘পার্টিকুলারলি সরকার কিছু কিছু জায়গায় ওপেন করে দিয়েছে। এখানে সরকারি পক্ষ থেকে বিভিন্ন এজেন্সিকে খুব স্ট্রিক্ট-ভিউতে দায়িত্ব পালন করতে হবে। পাশাপাশি জনসাধরণকে কো-অপারেশন করার আহ্বান জানানো হয়েছে।’

তিনি বলেন, কারণ, এ জিনিসটা বুঝতে হবে যে এটা একটা মহামারি এবং কমিউনিটি সাইটটাকে খুব গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ জনসাধারণ যদি এই বিষয়ে সম্পৃক্ত না হন এবং তারা যদি কো-অপারেট না করেন, তারা যদি নিজেরা সোশ্যাল ডিসটেন্সিং যেটা আছে বা সেলফ কোয়ারেন্টিন আছে, এগুলো যদি যথাযথভাবে তারা মেনে না চলার চেষ্টা করেন তাহলে কিন্তু করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখা দুষ্কর হবে।

‘সেই জন্য মন্ত্রিসভা থেকে সর্বসাধারণের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে, সরকারি কর্মচারী বা দায়িত্ব-কর্তব্যে যারা আছেন তারা তো তাদের স্ট্রিক্ট ভিউতে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি মন্ত্রিপরিষদ আশা করে জনসাধারণও…।’

গত ২৬ মার্চ থেকে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির পর আগামী ১০ মে থেকে সীমিত পরিসরে দোকানপাট খুলে দেওয়া হচ্ছে। আর বৃহস্পতিবার (৭ মে) থেকেই মসজিদগুলোতে জনসাধারণের জামাতে নামাজ আদায় উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই সময়ের মধ্যে এক ধরনের সচেতনতা ডেভেলপ করে গেছে, সেটা একটু যথাসাধ্য অ্যাপ্লাই করতে হবে।