সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের নিয়ে যেতে হচ্ছে ট্রাভেল পাস

কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিন প্রবাল দ্বীপে দ্বিতীয় দিনের মতো ভ্রমণ করেছেন ৬০০’র বেশি পর্যটক। পর্যটকদের নিয়ে যেতে হয়েছে ট্রাভেল পাস।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেন্টমার্টিনের জীববৈচিত্র্য ও প্রতিবেশ সংরক্ষণের জন্য অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, সেন্টমার্টিনে ভ্রমণ করতে হলে পর্যটকদের বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের অ্যাপস থেকে ট্রাভেল পাস সংগ্রহ করা বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া অনুমোদিত জাহাজে প্রবেশের সময় পর্যটকদের পলিথিন ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পলিথিন ব্যবহার কমানোর জন্য পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যাগ পর্যটকদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে।

এছাড়া, পর্যটকদের হোটেলে অবস্থানের তথ্য রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে এবং সেন্টমার্টিন ভ্রমণের সময় মানতে হবে এমন বিধি-নিষেধ সম্পর্কে মৌখিকভাবে অবহিত করা হচ্ছে। নুনিয়াছড়া ঘাঁটে পর্যটকদের জন্য একটি নির্দেশনা সম্বলিত বিলবোর্ডও স্থাপন করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় জানায়, সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন রোধে টেকনাফ ও কক্সবাজার সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া, ২১ সদস্যের একটি মনিটরিং সেল জাহাজ ও পর্যটন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছে। ৩০ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিবেশ অধিদফতরের ১০টি টিম জাহাজে পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যবহার মনিটর করছে।

সোমবার, ২য় দিনের মতো ৬৪৪ জন পর্যটক এবং ৩৭ জন স্থানীয়সহ মোট ৬৮১ জন যাত্রী বার আউলিয়া জাহাজে সেন্টমার্টিন যাত্রা করেছেন। এ দিন মোট ৭০৪টি ট্রাভেল পাস ইস্যু করা হয়। পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা চলাকালে পর্যটকদের কাছ থেকে পলিথিন ব্যাগ সংগ্রহ করা হয়েছে এবং তাদের সুবিধার্থে পরিবেশবান্ধব কাপড়ের ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে।