রাউজানের নোয়াপাড়ায় তিন যুবক অপহরণের অভিযোগ

শফিউল আলম, রাউজান ঃ রাউজানের নোয়াপাড়ায় তিনবন্ধুকে অপহরণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত ২৯ নভেম্বর শুক্রবার দিবাগত রাত ৮টায় রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ড থেকে তাদের অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। গতকাল ৩০ নভেম্বর শনিবার দুপুর ১টায় তাদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করার কথা জানায় ভুক্তভোগী তিনজন। এদিকে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম শফিকুল আলম চৌধুরী বলেছেন এটি অপহরণের ঘটনায় নয়, স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারছি মোটরসাইকেল নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে ঘটনাটি সংঘঠিত হয়েছে।

অপহৃত তিনজন হলেন, রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের পলোয়ানপাড়া গ্রামের মো. মানিকের ছেলে কাপড় বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের কর্মী মো. সাজ্জাদ (২৭), রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মো. দুলালের ছেলে ইমাম হোসেন (২৭), একই উপজেলার কামালের ছেলে মো. সোহেল। তারা তিনজন চিকিৎসা সেবা নিতে যান রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনযুবক মিলে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের পলোয়ানপাড়া এলাকায় মেজবানে গিয়েছিল। সেখান থেকে তাদের উঠিয়ে নিয়ে চোখ-মুখ বেঁধে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে বেধরক মারধর করা হয়। অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্য ভিডিও ধারণের চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। অপহৃতদের মধ্যে একজন বিএনপি নেতা গোলাম আকবর খোন্দকার এর অনুসারী মো. মানিকের ছেলে সাজ্জাদ। সাজ্জাদ বলেন, বাবা খন্দকার গ্রুপ করায় রাত ৮টায় অপহরণ করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে জিম্মি রেখে দুপুর ১টায় ছেড়ে দেয়। পরে পুলিশ আমাদের ঘরে পাঠায় পুলিশ। আমাকে গিয়াস কাদের গ্রুপের অনুসারী জসিমের লালিত সন্ত্রাসীরা অপহরণ করেছে। অপহরণকারী গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে, লাড্ডুম, লোকমান সহ তিনজনকে চিনতে পেরেছি।

এছাড়া আরও অনেক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ছিল। রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম শফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, আমরা তিনজন অপহরণ হওয়ার তথ্য পেয়ে রাতে উদ্ধার অভিযান শুরু করি। শনিবার সকালে তিনজনকে অক্ষত অবস্থায় একটি স্কুল মাঠ থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তবে এটি অপহরণের ঘটনা নয়, মোটরসাইকেল বিরোধকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে ঘটনাটি সংগঠিত হয়েছে বলে স্থানীয়দের মাধ্যমে নিশ্চিত হতে পেরেছি। এখনো পর্যন্ত (শনিবার দুপুর ২টা) কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।