সীতাকুণ্ডে কারখানার স্ক্র্যাপের স্তূপে মিলল বোমা সদৃশ বস্তু

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএসআরএম কারখানার স্ক্র্যাপের স্তূপের ভেতর একটি বোমা সদৃশ বস্তু পাওয়া যায়।

শনিবার(৩০ নভেম্বর) সকালে উপজেলার বার আউলিয়া এলাকার বিএসআরএম (রিসাইক্লিং) কারখানার ভেতরে থাকা স্ক্র্যাপের স্তূপে বোমা সদৃশ বস্তুটি পাওয়া যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান।

এ ঘটনায় কারখানার সিনিয়র এক্সিকিউটিভ (অ্যাডমিন) মো. আহসাদুল আলম বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

সাধারণ ডায়েরির তথ্যানুসারে জানা গেছে, সকালে কারখানার ভেতরে থাকা স্ক্র্যাপের স্তূপ থেকে স্ক্র্যাপ লোহা বাছাইয়ের কাজ করছিলেন শ্রমিকেরা। কাজের একপর্যায়ে স্ক্র্যাপের স্তূপের ভেতরে বোমা সদৃশ একটি বস্তু দেখতে পান। এ সময় তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ রাখেন এবং বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।

কারখানার সিনিয়র এক্সিকিউটিভ (অ্যাডমিন) মো. আহসাদুল আলম জানান, স্ক্র্যাপের স্তূপের ভেতরে পাওয়া বোমা সদৃশ বস্তুটি দেখার পর পূর্ব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তাঁরা নিরাপদ স্থানে সরিয়ে ফেলেছেন। পাশাপাশি এ ব্যাপারে পুলিশকে অবহিত করার পাশাপাশি সীতাকুণ্ড মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, কারখানা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানানোর পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে কারখানার পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। স্ত্র্যাপের স্তূপ থেকে উদ্ধার হওয়া বোমা সদৃশ বস্তুটি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে বোমা সদৃশ বস্তুটিতে বিস্ফোরক রয়েছে কিনা তা নিশ্চিতে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ৪ অক্টোবর কারখানাটির স্ক্র্যাপ লোহার স্তূপে বোমা সদৃশ তিনটি বস্তু পাওয়া যায়। সেই সময়ও কারখানা কর্তৃপক্ষ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে থানা-পুলিশ বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিটকে খবর দিলে তাঁরা বোমা সাদৃশ্য বস্তুটি তিনটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। পরীক্ষায় বোমা সদৃশ বস্তু তিনটিতে কোনো বিস্ফোরক নেই বলে নিশ্চিত হন তাঁরা।