অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ: উদ্বোধনী ম্যাচ জিতে বাংলাদেশের শুরু

জাতীয় দলের হয়ে ৮টি ওয়ানডে ও ১৬টি টি-২০ খেলে ফেলেছেন আল্লাহ গজনফর। রসহ্য বোলিংয়ে বেশ পরিচিতিও পেয়েছেন। শেষ জুটি হিসেবে নুরিস্তানি ওমরজাইকে নিয়ে ১৮ বছর বয়সি এই আফগানই ক্রিজে টিকে ছিলেন। আল ফাহাদের বলে ব্যাট চালিয়ে দৌড়ে রান নিতে চেয়েছিলেন গজনফর। অপরপ্রান্তে যাওয়ার আগেই স্টাম্প ভেঙে দেন সামিউন বসির।

দুবাইয়ে ১৮৩ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশ পেল ৪৫ রানের জয়। আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২২৮ রান করেছিল আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন দল।

রান তাড়া করতে নেমে আফগানিস্তান ৫ উইকেটে ১৫৯ রান করে ফেলেছিল। এরমধ্যে ফয়সাল খান আহমদজাই ৫৮ ও নাসির খান ৩৪ রান করেন। নাজিফুল্লাহ আমিরি ১৭, মাহবুব খান ১৬ ও উজাইরুল্লাহ নিয়াজি ৮ রান করেন। ইকবাল হোসেন এমন নেন ২টি উইকেট। একটি করে শিকার ধরেন রাফি উজ্জামান, মারুফ মৃধা ও আল ফাহাদ।

এরপর আফগানিস্তানের জয়ের জন্য দরকার পড়ে আর ৭০ রান, ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের ৫ উইকেট। ১৯ রানে বরকত ইব্রাহিমজাই আউট হলে বাংলাদেশের পেস তোপে ১৮৩ রানে গুটিয়ে যায় আফগানদের ইনিংস। এই ৫ উইকেটের মধ্যে আল ফাহাদ ২টি, মৃধা ও ফাহাদ একটি করে উইকেট নেন। গজফর হন রানআউট।

এর আগে ওপেনার জাওয়াদ আবরার ৫ বলের ডাকে বিদায় নেয়ার পর কালাম সিদ্দীকির সঙ্গে জুটি গড়েন আজিজুল হাকিম। এই দুজনের ব্যাটেই ২২৮ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। আজিজুল ও কালাম বাদে বাকিরা চূড়ান্ত মাত্রায় ব্যর্থ, এগারোর বেশি রানই করতে পারেননি। সেঞ্চুরি তুলে নেন আজিজুল। দলপতি ১৩৩ বলে ৮ চার ও ৪ ছয়ে করেন ১০৩ রান, ম্যাচসেরার পুরস্কারও ভাগিয়েছেন তিনি। তাকে ৬৬ রান করে লম্বা সময়ের জন্য সঙ্গ দেন কালাম। দুজনের জুটি হয় ১৪২ রানের। ১১০ বলে ৬৬ রান করে আল্লাহ গজনফরের ঘূর্ণিতে বিদায় নেন কালাম।