আমার একটা স্বপ্ন আছে চট্টগ্রামকে পর্যটন নগরীতে পরিণত করা। যাতে জিডিপিতে আমরা কিছু অবদান রাখতে পারি। সবাইকে নিয়ে একটি গ্রিন সিটি চট্টগ্রামবাসীকে উপহার দিবো। আপনারা কোনোভাবে মনে করবেন না যে আপনাদের উপর করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছি। আপনারা আগে যেটা দিয়েছেন তার থেকে ১০ বা ২০ ভাগ বাড়তে পারে। ২০০ ভাগ নয়, এটা অযৌক্তিক। চন্দনাইশের কৃতি সন্তান ডা. শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় চন্দনাইশ মিডিয়া ক্লাবের উদ্যোগে এই নাগরিক সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে চসিক মেয়র ডাঃ শাহাদাত হোসেন এসব কথা বলেন।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউটে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বন্দর মাত্র আমাকে ৩৫ থেকে ৪০ কোটি টাকা দিচ্ছে। অথচ এই পোর্টের ১ ভাগ মাশুলও যদি আমি পাই তাহলে প্রতি বছর দেড়শ থেকে ২০০ কোটি টাকায় যেত। যেটা আমার পাওনা। পোর্টের সঙ্গে আগে যারা ছিল তারা হয়তো কিছু করে সিটি করপোরেশনকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এভাবে প্রতিটি সেবা প্রদানকারী সংস্থা থেকে তারা কম কম টাকা নিয়ে নিজের আখের গুছিয়েছে। নগরবাসীদের অনুরোধ করবো আপনাদের উপর সিটি করপোরেশনের যে হক আছে সেটা আপনারা দিয়ে দিবেন।
তিনি বলেন, ৪৫০ কোটি টাকা দেনা নিয়ে সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব শুরু করেছি। আমি কাজ করার চেষ্টা করছি। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে আমি ভালোবাসি। ৪৫০ কোটি টাকা দেনা আছে, আপনারা একটু সাহায্য করবেন এ দেনাকে আমি শূন্যের কোটায় নিয়ে আসবো।
চন্দনাইশ মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি জামশেদুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এম এ হোসাইনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্সের সহ সভাপতি এ এম মাহবুব চৌধুরী, ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি মাকসুদুর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, লেখক, কবি ও সাহিত্যিক অভিক ওসমান, চন্দনাইশ সমিতির সভাপতি আবু তাহের চৌধুরী, মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ, চন্দনাইশ দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম রাহী।