আনোয়ারায় কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনে ধান কাটা শুরু

শাওন ইমতিয়াজ:: আনোয়ারায় কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনে ধান কাটা শুরু হয়েছে। সোমবার আনোয়ারায় প্রথমবারের মতো মেঘা কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন (ধান কাটা ও মাড়াই যন্ত্র) দিয়ে শোলকাটা ছুরুত বিবি চৌধুরানী মসজিদ সংলগ্ন জমিতে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ শুরু হয়েছে।

একসঙ্গে ধানকাটা, মাড়াই, ঝাড়া ও বস্তাবন্দী করার যন্ত্র তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন স্থানীয়দের। যন্ত্রটি দিয়ে এ বছর আনোয়ারা উপজেলায় বোরো ধান কেটে ঘরেও তুলেছেন কৃষকেরা। যন্ত্রটি ‘কম্বাইন্ড হারভেস্টার’ নামে পরিচিত। এতে ধান কাটায় প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় সময় ও খরচ অনেক কম লাগে। আর মাঠে-ঘাটে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে অনেক ধানের অপচয়ও হয় না।

আনোয়ারা উপজেলায় প্রথমবারের মতো জাপানের তৈরি ধান কাটা মেশিন ‘কম্বাইন্ড হারভেস্টার’ দিয়ে ধান কাটা হচ্ছে। এতে কৃষক খুশী। সাংবাদিক মোরশেদ হোসেন জানান এ মেশিনটি পেয়ে কৃষক অনেক আনন্দিত। এই মেশিন দিয়ে ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ খরচ কমানো যায়। এসব কাজ শ্রমিক দিয়ে করাতে হলে কৃষকের দ্বিগুণ টাকা খরচ হয়। এই মেশিন দিয়ে কৃষক এক সঙ্গে ধান কাটা, খড় কাটা ও মাড়াই সুবিধা পাবেন। ফলে কৃষক স্বল্প সময়ে কম খরচে ধান ঘরে তুলতে পারবেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, বিশ্বের বিভিন্ন কৃষিপ্রধান দেশে উন্নত প্রযুক্তির ধান কাটার এই কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন ব্যবহার হয়। এই মেশিনের ফলে চাষিদের সময়, অর্থ সাশ্রয় হবে এবং শারীরিক পরিশ্রম লাঘব হবে। একজন শ্রমিকের দৈনিক মজুরি সর্বনিম্ন ৪০০ টাকা। কমপক্ষে ১৫ জন শ্রমিক সারা দিন কাজ করলে এক একর জমির ধান কাটা-মাড়াই করতে পারেন। ব্যয় হয় কমপক্ষে ছয় হাজার টাকা। তা ছাড়া শ্রমিক দিয়ে কাজ করালে অনেক ধানের অপচয়ও হয়। কিন্তু এ যন্ত্রে অপচয়ের বালাই নেই।