সংস্কার শেষে দীর্ঘ ১৪ মাস পর যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতু। আজ রোববার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে সেতু দিয়ে চলাচল শুরু করেছে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। তবে ৮ ফুট উচ্চতার বেশি গাড়ি চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে না। এ দিকে ওই সেতুতে যান চলাচলের পর স্থানীয় ও ব্যবহারকারীদের উচ্ছ্বাস ও আনন্দ পরিণত হলো বিষাদে। কারণ একমুখী সেতুর উভয় পাশে যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণে থাকে ইজারাদার। তবে শুরু দিন কেউ না থাকায় সেতু মাঝখানে উভয় দিক থেকে এসে আটকে যায় যানবহন। এতে বাড়ে ভোগান্তি।
বোয়ালখালীর বাসিন্দা শিক্ষার্থী সৌরভ মালিক জানান, হঠাৎ করে মাঝ সেতুতে সব গাড়ি আটকে গেছে। সবার দুর্ভোগ বেড়েছে। যদিও আজকে সুখের খবর আমাদের। কোনো অনুষ্ঠানিকতা না থাকলেও রোববার সকাল ১০টার দিকে সেতু পারাপারের মাধ্যমে পুরোপুরি খুলে দেন রেলওয়ে ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। এরপর শুরু হয় যান চলাচল। দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে দিয়ে পায়ে হেঁটে পর হয় মানুষ। এ বিষয়ে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মনির হাসেন বলেন, ‘আমরা বুয়েটের পরামর্শক দল দিয়ে সংস্কার কাজ শুরু করেছি। এখন বলা যায় সেতুটি ঝুঁকিমুক্ত। স্বতঃস্ফূর্তভাবে যান চলাচল করতে পারবে।’ চালকরা জানান, এতদিন আমাদের ফেরিতে পার হতে হতো। এখন সরাসরি পার হয়ে যাচ্ছি ওই সেতু দিয়ে।
পথচারীরাবলেন, ‘আমরা দ্রুত নতুন সেতু চাই। কারণ এটি জোড়াতালি দিয়ে চলছে। যে কোনো সময় সমস্যা হতে পারে।’ জানা যায়, সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ পূর্ণ হওয়ায় ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বুয়েটের পরামর্শক দলের তদারকিতে সংস্কার শুরু হয়। বিকল্প হিসেবে কর্ণফুলী নদীতে চালু করা হয় ফেরি। যদিও কক্সবাজারগামী ও কিছু ট্রেন চলাচল করেছিল। তবে দীর্ঘ ১৪ মাস পর সেতুটি চালু হলেও পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয় সাধারণ মানুষ। তারা চান নতুন সেতুর দ্রুত নির্মাণ কাজ শুরু হোক।
এ দিকে সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নিমিত হবে রেল কাম সড়ক সেতু। যেটি এই অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই একনেকে গত মাসে অনুমোদন হয়েছে।











