সাদা পোশাকে দীর্ঘ সময় ধরেই ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দী পাকিস্তান। সাম্প্রতিক অতীতে অস্ট্রেলিয়া সফরে ধবলধোলাই হওয়ার পর ঘরের মাটিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজেও ধবলধোলাই হয় ম্যান ইন গ্রিনরা। এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচের প্রথম ইনিংসে সাড়ে পাঁচশর বেশি রান করেও ইনিংস ব্যবধানে হারে শান মাসুদের দল। এরপর পরের দুই ম্যাচে রীতিমত স্পিন দুর্গ বানিয়ে খেলেছে স্বাগতিকরা, তাতেই মিলেছে ফল, শেষ দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে স্বাগতিকরা।
মুলতানে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানকে জয় এনে দেন দুই স্পিনার সাজিদ খান এবং নোমান আলী। এরপর সিরিজের শেষ টেস্টের জন্য রাওয়ালপিন্ডিতেও স্পিনবান্ধব উইকেটই বানিয়েছিল পাকিস্তান। আর ঘূর্ণি উইকেটে ইংলিশদের ঘায়েল করে ৯ উইকেটের ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নিয়েছেন শান মাসুদরা।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ বছর পর এটি পাকিস্তানের প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়। আর ঘরের মাটিতে ৩ বছর পর এটিই পাকিস্তানের প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়।
মুলতানে সিরিজের শেষ টেস্টে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের ২৬৭ রানের জবাবে পাকিস্তান করে ৩৪৪ রান। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বেন স্টোকসের দল গুটিয়ে যায় ১১২ রানেই। তাতে জয়ের জন্য ম্যান ইন গ্রিনদের লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৩৬। ১ উইকেট হারালেও ছোট লক্ষ্য ১৯ বলেই পেরিয়ে গেছে পাকিস্তান।
এদিকে পাকিস্তানের এই সিরিজ জয়ে সবথেকে বেশি অবদান রেখেছেন দুই স্পিনার সাজিদ খান ও নোমান আলী। প্রথম ম্যাচে হারের পর এ দুজনকে দলে নেয়া হয়। এরপর শেষ দুই টেস্টে ইংল্যান্ডের ৪০ উইকেটের ৩৯টিই নিয়েছেন এ দুই স্পিনার। বাকি ১ উইকেট নিয়েছেন আরেক স্পিনার জাহিদ মেহমুদ।
মুলতান টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে ইংল্যান্ডের ২০ উইকেটের ১৯টিই নিয়েছেন সাজিদ ও নোমান। একই সঙ্গে দেশের মাটিতে পিছিয়ে থেকেও টেস্ট সিরিজ জিতে এয়ার ঘটনা পাকিস্তানের জন্য এবারই প্রথম। এর আগে ১৯৯৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে প্রথম ম্যাচ হারের পর পরের দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ জিতেছিল পাকিস্তান, তবে সেটি ছিল অ্যাওয়ে সিরিজ।