সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও: কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার শিল্পনগরী ইসলামপুর ইউনিয়নের মধ্যম নাপিতখালী গ্রামের চলাচলের একমাত্র সড়কটি বছর না হতেই অসংখ্য খানা-খন্দে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে যান ও জন চলাচলে জনদুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির অর্থায়নে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এক কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে যাওয়ায় যান ও জন চলাচলে নানা দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইসলামপুর ইউনিয়নের নতুন অফিস বাজার হয়ে মধ্যম নাপিতখালী এবং ডুলাফকির মাজার সড়কে সংযুক্ত করে প্রায় ১ কিলোমিটার পাকা সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু করে এলজিইডি। ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে এলজিইডি প্রায় দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। সড়কটি নির্মাণ কাজ পান স্থানীয় একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
সড়কটির কাজ শেষ করেই গত জুলাই মাসে হস্তান্তর করে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। তবে সে সময়ও কাজের মান নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে। এর ফলে সাম্প্রতিক সময়ে ভারী বর্ষণের কারণে সড়কটির বিভিন্ন অংশেই ভেঙ্গে গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়ক ভেঙ্গে ছোট-বড় অসংখ্য খাদ সৃষ্টি হয়েছে। ভেঙ্গে ধেবে গেছে গাইডওয়াল। একটু বৃষ্টি হলেই সড়কে উপচেপড়ছে বৃষ্টির পানি। ভঙ্গুর সড়ক দিয়ে স্কুল-কলেজ-মাদরাসার শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী,চাকুরীজিবিসহ সাধারণ পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এমনকি যান চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
নাপিতখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বশির আহমদ জানান, এই সড়ক দিয়ে মধ্যম নাপিতখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মুসল্লী,লবণ শ্রমিকসহ অসংখ্য লোক যাতায়াত করে থাকেন প্রতিনিয়ত। বর্তমানে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে তাদের গুরুত্বপূর্ণ সময়।
জানতে চাইলে সাবেক মেম্বার নুরুল আলম জানান, গত বছর সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এতেই বছর পার না হতেই সড়কটি ভেঙ্গে খানা-খন্দে ভরে গেছে।
সড়কটির সংস্কার হলে দুর্ভোগ কমবে এখানকার মানুষের। যতদ্রুত সম্ভব ভাঙ্গা সড়কটি সংস্কারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছেন সাবেক এ জনপ্রতিনিধি।
কক্সবাজার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন খান বলেন, ভারী বর্ষণে অনেক রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এসব সড়কের তালিকা করা হচ্ছে, বরাদ্দ পেলে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের কাজ শুরুর কথাও জানান তিনি।