‘পাহাড়ে পর্যটকদের ভ্রমণ আনন্দদায়ক করতে সরকারিভাবে উদ্যোগ নিতে হবে’

চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চল রাঙ্গামাটি জেলার পর্যটন সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে শহরের বার্গী লেক ভ্যালি রিসোর্টে এ সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারাফ হোসেন খান, পুলিশ সুপার ড. এস. এম. ফরহাদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাসরিন সুলতানাসহ রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, আবাসিক হোটেল মালিক সমিতি, রাঙ্গামাটি, ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব রাঙ্গামাটি (টোয়ার), পর্যটন শিল্প সমবায় সমিতি লিমিটেড, লঞ্চ মালিক সমিতি, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি, রাঙ্গামাটি জেলা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন, রাঙ্গামাটি তাঁত শিল্প মালিক সমিতি, রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতি, রিজার্ভ বাজার, ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতি, সমতা ঘাট ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতি, পর্যটন ঘাট, ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতি, ফিসারি ঘাট, হাউজ বোট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব রাঙ্গামাটি, এ ১৪টি পর্যটন অংশীজন।

সভায় পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে পাহাড়ে পর্যটক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করে জারি করা নির্দেশনা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। একই সঙ্গে পাহাড়ে পর্যটকদের ভ্রমণ আনন্দদায়ক করতে সরকারি উদ্যোগ গ্রহণের দাবিও জানানো হয়।

সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু বলেন, ‘রাঙ্গামাটি পর্যটকে এলে শহরের পান দোকান থেকে শুরু করে প্রতিটি সেক্টর এর সুফল পায়। যদি সাজেক সমস্যা থাকে তাহলে সেখানে বন্ধ রেখে শহরের পর্যটন খাত খোলা রাখার জোর দাবি করছি।’

রাঙ্গামাটি তাঁতশিল্প মালিক সমিতির সভাপতি বাবলা দাশ বলেন, ‘রাঙ্গামাটি পর্যটক না এলে হাতে তৈরি বিভিন্ন পোশাক তৈরির কারখানা বন্ধ রাখতে হয়। কারণ পর্যটক না এলে এসব পণ্য বিক্রি হয় না। তার প্রভাব পড়ে শ্রমিদের ওপর।’

হাউজ বোট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ রাঙ্গামাটি সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, ‘পর্যটক খাতে নতুন সংযোজন হাউজ বোট। কাপ্তাই হ্রদে ভ্রমণ ও থাকার ব্যবস্থা থাকায় পর্যটকদের আকর্ষণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে নানা সমস্যার কারণে ব্যবসা অনেকে গুটিয়ে নিচ্ছে।’

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাসরিন সুলতানা বলেন, ‘পর্যটকরা দিনে হ্রদে ঘুরে বেড়ানোর পর, রাতে অলস সময় কাটাতে হয়। পর্যটকদের জন্য রাতে বিনোদনের জন্য ব্যবস্থা করতে হবে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় ইতোমধ্যে সিসি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। আশা করছি নভেম্বরের মধ্যে শহরকে নতুনভাবে সাজাতে পারব।’

পুলিশ সুপার ড. এস. এম. ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমরাও চাই এখানে পর্যটন আসুক, পাহাড়ে বর্তমান পরিস্থিতি উচ্চ মহল বিবেচনার জন্য অবহিত করা হয়েছে।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, ‘রাঙ্গামাটি দেশের পর্যটন শিল্পের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। প্রতি বছর প্রচুর পর্যটক এই জেলায় হ্রদ পাহাড় মেঘের মিতালী উপভোগ করতে আসেন। তাই পর্যটন ব্যবসায় অনেক লোক নিয়োজিত। জারিকৃত নির্দেশনা যাতে আর না বাড়ে সে বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি অচিরেই আপনারা সেই সুখবর পাবেন।’