চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় কিশোরী ও মাতৃমৃত্যু হার কমানোর লক্ষ্যে ১০-১৪ বছরের কিশোরীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ টিকা এইচপিভি প্রথম ডোজ প্রদান কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মঙ্গলবার(২২ অক্টোবর) সকালে মেমন জেনারেল হাসপাতাল মিলনায়তনে এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ইমাম হোসেন রানা’র সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরীন ফেরদৌসী, শিক্ষা কর্মকর্তা রাশেদা আক্তার, ডা. সরোয়ার আলম, ডা. প্রসূন রায়, ডা. হোসনা আরা বেগম, ডা. মোঃ রফিকুল ইসলাম, ডা. তপন চক্রবর্তী, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: ওয়াহীদুল আলম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, ইউনিসেফ চট্টগ্রামের হেলথ অফিসার দেলোয়ার হেসেন। উপস্থিত ছিলেন ডাঃ হাসান মুরাদ চৌধুরী, ডাঃ সূমন তালুকদার, ডাঃ আকলি মাহমুদ নাফে, ডাঃ জুয়েল মহাজন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রাম নগরীতেও আগামী ২৪ অক্টোবর হতে ১০দিনব্যাপী জরায়ুমুখ ক্যান্সর টিকা প্রথম ডোজ এইচপিভি কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। এর আওতায় নগরীর সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রীদের এই টিকা দেয়া হবে এবং পরবর্তীতে মহানগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে ৮দিন ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী বিদ্যালয় বর্হি:ভূত কিশোরীদের টিকা প্রদান করা হবে। কোন কিশোরী যাতে টিকা গ্রহনে বাদ না পড়ে সেদিকে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। কারণ এইচপিভি টিকা কিশোরী মাতৃ মৃত্যুর ঝুঁকি হ্রাস করে। তিনি জানান, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বিদ্যালয় ও বিদ্যালয় বর্হি:ভূত কিশোরীদের ১ লক্ষ ৩৬ হাজার জরায়ুমুখ ক্যান্সারের টিকা ০১ ডোজের এইচপিভি প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে।