দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবারো মিয়ানমার থেকে আসছে পেঁয়াজ। কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে দুদফায় মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ এসেছে ৫৭৭ মেট্রিকটন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) ট্রলার যোগে ২০০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আসে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) পেঁয়াজ এসেছে ৩৭৭ মেট্রিকটন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন থেকে পেঁয়াজ ভর্তি ট্রলারটি টেকনাফ স্থল বন্দরে এসে নোঙ্গর করে বলে জানিয়েছেন ইউনাইটেড ল্যান্ড পোট টেকনাফে লিমিটেডের ম্যানেজার সৈয়দ মো. আনোয়ার হোসেন। দুপুরে মেসার্স ফারুক ট্রেডার্সের মাধ্যমে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।
ট্রলারটি টেকনাফ স্থল বন্দরে পৌঁছানোর পর থেকে পেঁয়াজগুলো ট্রলার থেকে খালাস করা শেষে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
আমদানিকারক হাফেজ এনামুল হক জানান, দীর্ঘদিন পর পেঁয়াজ আমদানি করতে পেরে অনেক খুশি লাগছে। দেশে পেঁয়াজের চাহিদা অনেক বেশি। পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় শ্রমিকরা পেঁয়াজ ক্রয় করতে হিমশিম খাচ্ছেন । এভাবে যদি পেঁয়াজ আমদানি করা যায় তাহলে দেশে পেঁয়াজের দাম কমে আসবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।
স্থলবন্দরের কাস্টমস সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসের পর থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। চলতি মৌসুমে মেসার্স ফারুক ট্রেডার্সের মাধ্যমে প্রথম চালানে ৩৭৭ মেট্রিকটন পেঁয়াজ এসেছে। দ্বিতীয় চালানে আরো ২০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আসে।
টেকনাফ স্থলবন্দরের কাস্টমস সুপার বিএম আব্দুল্লাহ আল মাসুম বলেন, বিশাল একটি কার্গো জাহাজে করে পেঁয়াজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য স্থলবন্দরে এসেছে। জাহাজটিতে ৩৩ হাজার ব্যাগ পেঁয়াজ, শুটকি মাছ ,শুকনা সুপারিসহ বিভিন্ন পণ্য এসেছে। শুল্ক আদায় করে পেঁয়াজগুলো খালাস করার পর ট্রাকে ভর্তি করে দেশের বিভিন্ন শহরে সরবরাহ করা হবে বলে জানান তিনি।