‘সাগরের লবণাক্ত পানি থেকে কৃষি জমিগুলোকে রক্ষার বিকল্প নেই’

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় পরিবেশবাদী সংগঠন ” ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)”, এশিয়ান পিপলস মুভমেন্ট অন ডেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এপিএমডিডি), এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ’র যৌথ উদ্যােগে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে টেকসই খাদ্য ব্যবস্থা রক্ষার তহবিলের দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার(২১ অক্টোবর) সকাল ১০ টার দিকে উপজেলা গেইটে এ সমাবেশ করা হয়।

সমাবেশে বক্তব্য করেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, সংগঠনের আহ্বায়ক এম, শহীদুল ইসলাম ও সদস্য সচিব শাহেদুল ইসলাম মনির, যুগ্ম সদস্য সচিব মিজানুর রহমান প্রমুখ। এছাড়া, কৈয়ারবিল ইউপির সাবেক সদস্য কপিল উদ্দিন, যুব রেডক্রিসেন্ট কুতুবদিয়ার টিম লিডার জামসেদ আলী, রাহাত, মো. পারভেজ, মোরশেদ, আমিনুল হক, তামিমসহ বিভিন্ন শ্রেণির পেশা মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, দেশে খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হবে। শুধু খাদ্য উৎপাদন নয়, এগুলো রক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। বিশ্বে প্রায় ১০০ কোটি উপরে মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে। আর বাংলাদেশে প্রায় ৩ থেকে ৪ কোটি মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে। এজন্য আমাদের চাষাবাদ বাড়াতে হবে। তিনি আরও বলেন, কুতুবদিয়া দ্বীপে শাকসবজি, খাদ্যোপযোগী ফসল উৎপাদন বাড়াতে হবে। তাই সুপার ডাইক বেড়ীবাঁধ নির্মাণের মধ্য দিয়ে সাগরের লবণাক্ত পানি থেকে কৃষি জমিগুলোকে রক্ষার বিকল্প নেই বলে জানান।

সংগঠনের আহ্বায়ক এম. শহীদুল ইসলাম বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার কৃষি জমি সাগর গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে। লবণাক্ততার আধিক্যের কারণে ফসল উৎপাদন ক্রমে সংকুচিত হচ্ছে। কৃষকের পেশার পরিবর্তন হচ্ছে। তাই খাদ্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করছে। সেই লক্ষ্যে তিনি বিভিন্ন দাবি তুলে ধরে জানান, জলবায়ু ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা, জলবায়ু পরিবর্তন থেকে আমাদের খাদ্য ব্যবস্থা রক্ষা করা, জমি, খাদ্য ও পানি মানুষের জন্য, মুনাফার জন্য নয়, বিশ্ববাজার নয়, জনগণের খাদ্যের জন্য টেকসই খাদ্য ব্যবস্থাকে অর্থায়ন করতে হবে। আমদানি নির্ভরতা বন্ধ করা, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার জন্য কাজ করা এবং আমাদের খাদ্য ব্যবস্থায় ঔপনিবেশিকতার জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।

পরে, বিভিন্ন দাবি সম্বলিত প্লেকার্ড প্রদর্শন করা হয়।