হালদা নদীর পাড়ে শত শত বিনোদন প্রত্যাশীদের ভীড়

শফিউল আলম, রাউজানঃ রাউজান উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় বিনোদন প্রত্যাশীদের বিনোদনের কোন বিনোদন কেন্দ্র গড়ে উঠেনি। রাউজান পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের রাউজান রাবার বাগান এলাকায় গিরিছায়া নামক একটি বিনোদন কেন্দ্র বেসরকারীভাবে গড়ে উঠলে ও গিরিছায়া বন্দ্ব হয়ে যায় । বিনোদন প্রত্যাশীরা বর্তমানে হালদা নদীর পাড়ে সর্তার ঘাট রাউজান হাটহাজারী উপজেলা সীমনায় হালদা নদীর পাড়ে বিনোদনের জন্য প্রতিদিন ছুটে আসতে দেখা যায় । প্রতিদিন বিকেল হলেই বিনোদন প্রেমীদের ভিড় জমে নদীর পাড়ে। কেউ আসেন সময় কাটাতে, কেউ পরিবার-পরিজন নিয়ে আবার কেউবা আসেন বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে।

এসব কথা মাথায় রেখে এবার চট্টগ্রামের রাউজান-হাটহাজারী সীমান্তবর্তী এলাকায় হালদা নদীর সর্ত্তারঘাট সেতু পাড়ে গড়ে উঠছে ‘হালদা রিভার ভিউ’ নামে একটি নতুন বিনোদন কেন্দ্র।

প্রতিদিন দুই উপজেলার শত শত মানুষ বিকেল আর সন্ধ্যার সময়টুকু নিজের মতো করে কাটাতে ছুটে আসেন এখানে। চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কের পাশেই হালদা নদীর পাড়ে সর্ত্তারঘাটের দুই সেতুর খালি জায়গায় গড়ে ওঠা ছোট্ট জায়গাটি এখন জমজমাট বিনোদন কেন্দ্র। এই বিনোদন স্পষ্টকে ঘিরে বসেছে বেশকিছু খাবার দোকান। তাদের বেচাকেনাও বেশ জমজমাট।

সরজেমিন দেখা যায়, এখানে কেউ বন্ধুদের নিয়ে, কেউ পরিবার পরিজন নিয়ে, আবার কেউ এসেছেন প্রিয় মানুষকে নিয়ে। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ কেউ ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর অনেকে চায়ের কাপে বসে আড্ডা দিচ্ছে। তবে তরুণ-তরুণীরা ব্যস্ত সময় কাটাছে নিজের হাতে থাকা স্মার্টফোন নিয়ে। কেউ মনের মত ছবি তুলছে আর কেউ কেউ ভিডিও বানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। সেগুলো সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে।

এখানে আসা দর্শনার্থী
নাহিদা বলেন, এই জায়গা এক কথায় অসাধারণ। নতুন বিনোদন স্পট হিসেবে আমাদের নজর কেড়েছে। আমি সময় কাটাতে এখানে এসেছি। এক দিকে হালদা নদী অন্যদিকে হালদা রিভার ভিউ সন্ধ্যা নামলে এই জায়গার পরিবেশ আরও বেশি ফুটে ওঠে। সময় পেলেই চলে আসি প্রিয় এই স্থানে। বিশেষ করে এখানের ফুচকা খাওয়ার মজা অনেক বেশি। তাই সময় হলেই চলে আসি।

কথা হয় ফুচকা ও চা বিক্রেতা আশিক, মামুন, রুবেল ও নয়নের সাথে। তারা জানান, এই নতুন হালদা রিভার ভিউ নামের বিনোদন স্পষ্টে সময় কাটাতে বিভিন্ন জায়গায় থেকে প্রতিদিন শত শত মানুষ আসেন। বেশি আসেন তরুণ-তরুণীরা। এখানে প্রতিদিন আমাদের ফুচকা ও চা-নাস্তা বিক্রি করে ২০-৩০ হাজার টাকা আয় হয়। কর্মচারী রয়েছে ২০ জন।

ঘুরতে আসা আরো কয়েকজন বলেন, আমরা রাউজান থেকে এখানে ঘুরতে এসে সত্যি মুগ্ধ হয়েছি। এতো সুন্দর জায়গা রয়েছে কল্পনা করতে পারেনি। তাঁরা অভিযোগ করে বলেন এখানে মানুষ আসে একটু মনের আন্দন নিতে। কিন্তু মহাসড়কের উপর যেভাবে ঘুরতে আসা লোকজন গাড়ি রাখেন এখানে যেকোন সময় বড় কোন দুর্ঘটনা হতে পারে। এখনো কোনো গাড়ি পার্কিং করার মতো জায়গা নেই। সড়কের পাশে বিপদজনক ভাবে রাখা হচ্ছে সকল যানবাহন গুলো।