সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত ৬ মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়ে লিখিত আদেশ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকালে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় প্রকাশ করেন।
১ অক্টোবর মামলার বাদী রুনির ভাই নওশের আলী রোমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালত সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনিরসহ ৯ আইনজীবীকে মামলা পরিচালনা করার আনুমতি দেন।
শিশির মনির ছাড়া অন্য আইনজীবীরা হলেন: অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম, মিজানুল হক, মোস্তফা জামাল, আবু রাসেল, মহিউদ্দিন, আব্দুল্লাহ আল ফারুক, ইকবাল হোসেন ও মোত্তাকিন হোসাইন।
এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার তদন্তের দায়িত্ব থেকে র্যাবকে সরিয়ে দেন হাইকোর্ট। তদন্তে বিভিন্ন সংস্থার অভিজ্ঞত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন আদালত।
৩০ সেপ্টেম্বর একই আদালতে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষকে সহযোগিতা করার জন্য ৯ আইনজীবীকে নিয়োগের আবেদন করেন বাদী। শুনানি শেষে আদালত বাদীর উপস্থিতিতে এ বিষয় শুনানির জন্য ওইদিন ধার্য করেন। আবেদনে বলা হয়, মামলার ভিকটিম সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনিকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিরা ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি নিজ বাসায় নৃশংসভাবে হত্যা করে। মামলাটি দীর্ঘ ১২ বছর তদন্ত চলমান থাকলেও কোনো তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়নি।
আবেদনে আরও বলা হয়, দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও মামলায় কোনো প্রকার অগ্রগতি নেই। মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির ও ন্যায়বিচারের স্বার্থে রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটরকে সহায়তার জন্য বাদীপক্ষে নিজ খরচে আইনজীবী নিয়োগ করা আবশ্যক।
এদিকে সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব থেকে র্যাবকে সরিয়ে দিয়েছেন আদালত। বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটটির শুনানি হয়।
ওইদিন হাইকোর্ট বলেছিলেন, এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার থেকে র্যাবকে সরানো হলো। এটি পাঠানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। বিভিন্ন সংস্থার অভিজ্ঞ, যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্সের মাধ্যমে তদন্ত করাতে পারবে সরকার।