পুষ্টিবিদরা ইলিশ মাছের চর্বিকে ভাল চর্বি হিসেবেই বিবেচনা করেন। প্রতি ১০০ গ্রাম ইলিশ মাছে প্রায় ২১.৮ গ্রাম প্রোটিনের পাশাপাশি উচ্চ পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, নায়সিন, ট্রিপ্টোফ্যান, ভিটামিন, বি ১২, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামসহ অন্যান্য ভিটামিন ও মিনারেলস রয়েছে। তাছাড়া রক্ত পরিষ্কার করে রক্তাল্পতা কমাতে সাহায্য করে এ মাছের ডিম। ভিটামিন এ এর পাশাপাশি ভিটামিন ডি ও ভরপুর থাকে মাছের ডিমে।
ইলিশের ডিম খাওয়া পুষ্টিগুণের দিক থেকে বেশ উপকারী, তবে এর অতিরিক্ত গ্রহণ কিছু ক্ষতির কারণও হতে পারে। জেনে নেয়া যাক সেগুলো-
উপকারিতা-
১. প্রোটিন সমৃদ্ধ: ইলিশের ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে, যা শরীরের পেশি গঠনে এবং শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
২. ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: ইলিশের ডিম ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ, যা হৃদযন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়ক এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৩. ভিটামিন ও খনিজ: ইলিশের ডিমে ভিটামিন বি-১২, ভিটামিন ডি, আয়রন, ফসফরাস এবং সেলেনিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ রয়েছে, যা রক্তের উপাদান বৃদ্ধি এবং হাড়ের গঠনে সহায়ক।
৪. মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করা: ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৫. ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য: ইলিশের ডিমে থাকা পুষ্টি উপাদান ত্বক ও চুলের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ক্ষতিকর দিক-
১. উচ্চ কোলেস্টেরল: ইলিশের ডিমে প্রচুর পরিমাণে কোলেস্টেরল থাকে। অতিরিক্ত খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
২. অতিরিক্ত ক্যালোরি: ইলিশের ডিম উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত, ফলে অতিরিক্ত খেলে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে।
৩. অ্যালার্জি: কিছু মানুষের জন্য ইলিশের ডিম অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। অ্যালার্জির লক্ষণগুলোর মধ্যে ত্বকের র্যাশ, চুলকানি, বমি, পেটে ব্যথা ইত্যাদি থাকতে পারে।
৪. পরিবেশ দূষণ থেকে আসা ক্ষতিকর পদার্থ: কিছু ইলিশে সামুদ্রিক দূষণের কারণে ভারী ধাতু (যেমন- পারদ) উপস্থিত থাকতে পারে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
ইলিশের ডিম পরিমিত পরিমাণে খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী, তবে অতিরিক্ত খেলে কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই, ইলিশের ডিম খাওয়ার সময় পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখা উচিত।