চট্টগ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়কে নির্ভয়ে, নিশ্চিন্তে ও নিরাপদে দুর্গা পূজার উৎসব পালনের আহবান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর।
তিনি বলেন, এই বাংলাদেশ মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান আমাদের সবার। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক সকল ক্ষেত্রে সমান অধিকার ভোগ করবে। এটাই বিএনপির নীতি, এটাই বিএনপির রাজনীতি। এবারের পূজায় বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রতিটি মণ্ডপে ঐক্যবদ্ধভাবে টিম করে সনাতনীদের পাশে থাকবে। পূজা উদযাপন কমিটির প্রতিনিধি সমন্বয়ে স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করা হবে।
তিনি বুধবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নগরীর এনায়েত বাজার গোয়াল পাড়ায় আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে এনায়েত বাজার ওয়ার্ডস্থ শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির বিভিন্ন পূজামণ্ডপের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় ও সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের চৌধুরী, এনায়েত বাজার ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার এম এ মালেক, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলী আব্বাস খান।
এসময় আবুল হাশেম বক্কর বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। এই উৎসব উপলক্ষে আমি আপনাদেরকে আগাম শুভেচ্ছা জানাই। আপনারা প্রত্যেকে নির্ভয়ে নিশ্চিন্তে নিরাপদে উৎসব উদযাপন করুন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূল মন্ত্র ছিলো সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিক যার যার ধর্মীয় অধিকারগুলো স্বাচ্ছন্দে বিনাবাধায় উপভোগ করবে এমন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ও সমাজ নির্মাণের জন্যই মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় কে মুসলমান, কে হিন্দু, কে বৌদ্ধ, কে খৃষ্টান এমন কোনো জিজ্ঞাসা কিন্তু ছিলো না। স্বাধীন বাংলাদেশে সংখ্যালঘু কিংবা সংখ্যাগুরু এসব নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের একমাত্র পরিচয় আমরা বাংলাদেশি।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বিঘ্নে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিমার আগমন থেকে বিসর্জন পর্যন্ত আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবো। যখন যে কোনো প্রয়োজনে আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখবেন। আমরা সনাতনী ভাইদের সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবো।
দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি নিপু নাথের সভাপতিত্বে ও অশোক ঘোষের পরিচালনায় মতবিনিময় ও সমন্বয় সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন লাতু, আলমগীর আলী, দয়া কুটির পুজা মন্ডপের সভাপতি প্রণব চৌধুরী কুমুকুম, পুজা উদযাপন কমিটির প্রতিনিধি রঞ্জিত ঘোষ, তুর্জয়, গোয়াল পাড়া মহিলা সংঘ পুজা মন্ডপের সভাপতি মিনা চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক লুনা চৌধুরী, বজ্রধাম পুজা মন্ডপের সভাপতি শিমুল দাশ, কালি বাড়ি পুজা মন্ডপের সাধারন সম্পাদক গৌতম ঘোষ প্রমূখ।