সবার মতামত ও বাস্তবতা পর্যবেক্ষণ করেই হবে শ্বেতপত্র : ড. দেবপ্রিয়

    সবার মতামত এবং বাস্তবতা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমেই শ্বেতপত্র প্রণয়ন করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

    আজ বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেলে সিলেট নগরীর একটি হোটেলের হলরুমে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

    ‘দেশে ভীতি ও আস্থাহীনতার অবস্থা এখনও বিদ্যমান। রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মচারিরা ব্যবসায়ী হয়ে গেছেন অথবা ব্যবসায়িরাই রাজনীতিবিদ হচ্ছেন। বর্তমান সরকার ও শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি এই অবস্থার পরিবর্তন কামনা করে এবং এ লক্ষ্যেই কাজ করছে।’ উল্খে করে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘ভয়-ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে কথা বলতে হবে। দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। এ ব্যাপারে সবার মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। অর্থনৈতিক অবস্থার সংস্কারে এ ধরনের আলোচনা অব্যাহত রাখা হবে।’

    ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, সবার মতামত এবং বাস্তবতা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমেই শ্বেতপত্র প্রণয়ন করা হবে।

    অন্তর্বর্তী সরকার দেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠনের পর প্রথম আঞ্চলিক মতবিনিময় আয়োজন করা হয় সিলেটে। আজ বিকেলে নগরীর একটি হোটেলের হলরুমে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সিলেটের বিভিন্ন সেক্টরের অংশীজনরা নিজেদের মতামত তুলে ধরেন।

    চা, পর্যটন, মৎস্য, কৃষি, যোগাযোগ, রেমিটেন্সসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক খাতের দুর্নীতি, অবহেলা ও উন্নয়নবঞ্চনা নিয়ে কথা বলেন অংশীজনরা।

    তাঁরা বলেন, সিলেটে একের পর এক মেগা প্রকল্প নেওয়া হয়েছে যার বেশিরভাগই বাস্তবায়ন হয়নি। প্রকল্প মাঝপথে আটকে থাকলেও বিপুল পরিমাণ অর্থ লুটপাট করা হয়েছে। ফলে উন্নয়নবঞ্চিত থেকেছে সিলেট। বিভ্রান্তিকর পরিকল্পনা ও লুটপাটের কারণে হাইটেক পার্ক, অর্থনৈতিক অঞ্চল, পর্যটন প্রভৃতি বিষয়ে ব্যয় করা অর্থ মানুষের জীবনে কোনো সুফল বয়ে আনতে পারেনি।

    মতবিনিময় সভায় এ সময় বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।