মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের নবনিযুক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মোঃ গোলাম ফারুক বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গুণগত শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। এতে শিক্ষক সমাজকে মূল ভূমিকা পালন করতে হবে। মাধ্যমিক শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন ছাড়া জাতির কল্যাণ সম্ভব নয়। আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ শিক্ষায় গুণগত মান নিশ্চিত করা। তিনি শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকালে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখা আয়োজিত মাধ্যমিক শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন “শীর্ষক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবস্থ বঙ্গবন্ধু হলে আয়োজিত মত বিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বাশিস, চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ লকিতুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর প্রদীপ চক্রবর্তী, উপ পরিচালক মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন, চট্টগ্রামের জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোঃ জাহাঙ্গীর, বাশিস, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার উপদেষ্টা সুনীল চক্রবর্তী, বাশিস চট্টগ্রাম অঞ্চলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিমুল মহাজন ও মোঃ আলতাজ মিয়ার যৌথ সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন বাশিস চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক অঞ্চল চৌধুরী। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক শামসুদ্দীন শিশির, জেলা নেতৃবৃন্দের মধ্যে মোঃ নুরুল হক ছিদ্দিকী, মোঃ জানে আলম ও মোঃ ওসমান গণি প্রমুখ।
প্রধান অতিথি মাউশি মহাপরিচালক আরো বলেন, বাঙ্গালী জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষা জাতীয়করণের স্বপ্ন দেখেয়েছিলেন তারাই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ্য উত্তরসূরী উল্লেখ করে বেসরকারী শিক্ষক সমাজ এর দাবী-দাওয়া বাস্তবায়নে তিনি ইতোমধ্যে বার্ষিক ৫% প্রবৃদ্ধি ও বৈশাখী ভাতা প্রদান করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। মান সম্পন্ন গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করণে ৪টি মূল নীতি তথা শিক্ষার্থীকে সৃষ্টিশীল, চিন্তাশীল, নৈতিকতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতাকে চিহিৃত করেছেন। এ জন্য শিক্ষক সমাজকে সর্বাত্রে এগিয়ে আসতে হবে। দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারলে উপকৃত হবে বাংলাদেশ। এসডিজি বাস্তবায়ন হবে বলে আশাবাদ। প্রধান অতিথিকে বাশিস বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।