মারধরের দোকান কর্মচারীর মৃত্যু, টেরিবাজারে বিক্ষোভ

নগরের টেরিবাজার এলাকায় মারধরের শিকার হয়ে এক দোকান কর্মচারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। দোকান থেকে কাপড় বের করার সময় টেরিবাজার এলাকায় নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে মারধরের শিকার হন বলে অভিযোগ উঠেছে।

ওই কর্মচারীর মৃত্যুর পর লোকজন জড়ো হয়ে কোতোয়ালী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) কামরুলকে দায়ী করে বিচার দাবি করেছে।

এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ওই এলাকায় টহল টিমে থাকা কোতোয়ালী থানার এএসআই কামরুল ও দুই কনস্টেবলকে ক্লোজড করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মুহাম্মদ আবদুর রউফকে প্রধান করে তিন সদস্যকের একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

তদন্ত কমিটিতে সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) ও কোতোয়ালী থানার ওসিকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।

নিহতের নাম গিরিধারী চৌধুরী (৫৮)। তিনি টেরিবাজারের প্রার্থনা বস্ত্রালয়ের কর্মচারী। তার বাড়ি চন্দনাইশ বলে জানিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে প্রার্থনা বস্ত্রালয় থেকে কাপড় বের করছিলেন ওই দোকানের কর্মচারী গিরিধারী চৌধুরী। তখন সেখানে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে আটক করে। তার সঙ্গে বাদানুবাদ হয়। এক পর্যায়ে তাদের হাতে মারধরের শিকার হন তিনি।

পরে ওই এলাকায় টহল ডিউটিতে থাকা এএসআই কামরুল ও দুই কনস্টেবল মিলে গিরিধারী চৌধুরীকে বক্মিরবিট পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যান। পুলিশ ফাঁড়িতে দোকানের মালিককে আসতে ফোনও করা হয়। সেখানে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান গিরিধারী চৌধুরী।

তবে কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন কাছে দাবি করেছেন, ইফতারের সময় হয়ে যাওয়ায় পুলিশ সদস্যরা গিরিধারী চৌধুরীকে নিয়ে ফাঁড়িতে চলে যান।

অভিযোগ করা হচ্ছে, নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে চোর সন্দেহে মারধর করে। তথ্য জানতে এএসআই কামরুলও তাকে মারধর করে।

কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে মারধরের শিকার হয়ে মৃত্যুর অভিযোগ নাকচ করে দেওয়া হয়েছে।

সিএমপির উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসান বলেন, মারধরের শিকার হয়ে নয়, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পথে গিরিধারী চৌধুরী নামে ওই ব্যক্তি মারা যান। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলে তাকে মারধর করা হয়েছে এমন কোনো তথ্য পাইনি।

এসএম মেহেদী হাসান বলেন, নিরাপত্তাকর্মীদের হাতে আটক হওয়ার পর পুলিশের টহল টিম গিরিধারী চৌধুরীকে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। তবুও দায়িত্বে অবহেলার দায়ে এক এএসআই ও দুই কনস্টেবলকে ক্লোজড করা হয়েছে। অতিরিক্ত উপ-কমিশনারকে (দক্ষিণ) প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটিতে সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) ও কোতোয়ালী থানার ওসিকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।