শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আজ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। দুই বছর আগে সৃষ্টি হওয়া অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক সংকটের পর দ্বীপ দেশটিতে এই প্রথম কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। খবর এএফপির।
ভোটগ্রহণ চলবে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা পর্যন্ত। কৃচ্ছ্রতা কর্মসূচি হাতে নিয়ে জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ার কারণে প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে তার ক্ষমতা ধরে রাখতে এই নির্বাচনে বেশ শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে যাচ্ছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
২০২২ সালে গণ-অসন্তোষের মুখে বিক্রমাসিংহের পূর্বসূরী দেশ ছেড়ে পালানোর পর গত দুই বছরের শাসনামলে তিনি দেশে অনেকটা স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনেন। এ সপ্তাহে কলম্বোতে আয়োজিত তার সর্বশেষ জনসভায় বিক্রমাসিংহে জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘দেউলিয়া অবস্থার অবসানে অবশ্যই আমাদের সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে। আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে সন্ত্রাসের যুগে ফিরে যাবেন নাকি সমৃদ্ধির পথে হাঁটবেন।’
তবে আইএমএফের ২৯০ কোটি ডলারের বেইল আউট কর্মসূচির কারণে কর বৃদ্ধিসহ অন্যান্য উদ্যোগের ফল হিসেবে জনসাধারণ কিছুটা অসুবিধার মধ্যেই সময় পার করছে। তাই সংঘাতপূর্ণ অতীত স্মৃতি বয়ে বেড়ানো মার্কসপন্থি নেতা অনুরা কুমারা দেশানায়েকে এই নির্বাচনে অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তনে দেওয়া প্রতিশ্রুতির কারণে সম্প্রতি তার সমর্থকের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে।
এ ছাড়া আরেক বিরোধী নেতা সাজিথ প্রেমাদাসাও রয়েছেন পাদপ্রদীপের আলোতে। ১৯৯৩ সালে দেশটিতে চলতে থাকা গৃহযুদ্ধের সময় আততায়ীর হাতে নিহত সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রেমাদাসার ছেলে তিনি। তিনিও বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
শ্রীলঙ্কার এক কোটি ৭০ লাখ ভোটার আজকের এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। নির্বাচনকে ঘিরে মোতায়েন করা হয়েছে ৬৩ হাজার পুলিশ সদস্যকে, যারা ভোটকেন্দ্র ও গণনা কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল ৭টা থেকে এবং তা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। আজ শনিবার সন্ধ্যা থেকেই ভোট গণনা শুরু হবে এবং আগামীকাল রোববার ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলে সরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা কিছুটা দেরি হতে পারে।