কাপ্তাইয়ে বোরোর বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

নজরুল ইসলাম লাভলু, কাপ্তাই
চলতি বোরো মৌসুমে কাপ্তাই উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী ধান উৎপাদন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। ফলে ব্যস্ততা বেড়েছে কৃষাণ-কৃষাণীর। উপজেলার রাইখালী ও চিৎমরম ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশী ধান উৎপাদন হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নের রিফিউজি পাড়া, বড়খোলা পাড়ায় মাঠ জুড়ে ধানি জমিতে ফসলে ভরপুর হয়ে উঠেছে। ধানের ব্যাপক ফলনে চোখ জোড়ানো সবুজ প্রান্তর দেখে কৃষক আনন্দিত। জমিতে জমিতে ধানের গন্ধে মৌ মৌ করছে চারপাশ।এতে কৃষাণ -কৃষাণীরা ব্যস্ত ধান কাটায়। তবে এবছর করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবে অনেক কৃষক ধান কাটার শ্রমিক সংকটে ভুগছেন বলে তারা জানান। তবে কাপ্তাই উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের পক্ষ হতে রাইখালী ইউনিয়নের ডংনালায় কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়ায় এসংকট অনেকটা লাঘব হয়েছে।
কাপ্তাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সামসুল আলম চৌধুরী জানান, এবছর কাপ্তাই উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে প্রায় ২শ’ ৮০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের ব্যাপক ফলন হয়েছে। এরমধ্যে উফসী জাতের ব্রিধান-২৮ উৎপাদিত হয় ১৮২ হেক্টরে, ব্রিধান-২৯ উৎপাদিত হয় ৫০ হেক্টরে, ব্রিধান-৫৮ হয় ১০ হেক্টরে, ব্রিধান-৭১ হয় ১০ হেক্টরে, হাইব্রিড জাতের হিরা ১০ হেক্টরে, সেরা ৫ হেক্টরে, নবি ৬ হেক্টরে ও টিয়া ৭ হেক্টরে উৎপাদিত হয়। সবমিলে ২শ’ ৮০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের ফলন হয়েছে। এবছর কৃষি বিভাগের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৬০ মেট্রিকটন। তবে এই লক্ষ্যমাত্রা ছেড়ে যেতে পারে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে।
ইতিমধ্যে উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। এবার ধানের ব্যাপক ফলন হওয়ায় কৃষকেরা আশানুরূপ ফলন গোলায় তুলতে পারবে বলে মাঠ পর্যায়ের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বাপ্পা মল্লিক আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।