কেরুনতলী-বরইতলী সীমান্তে চোরাচালান সিন্ডিকেট বেপরোয়া

টেকনাফ প্রতিনিধি: টেকনাফ সীমান্তে মাদক-চোরাচালান সিন্ডিকেটের কে এই পিচ্চি মিজান ! যার ইশারায় চলে মাদক-মানব পাচার চোরাচালান সহ হরেক রকম অপরাধ। দেশের পট পরিবর্তনে আইনশৃংখলা বাহিনীর ব্যস্থতার সুযোগে সীমান্তে মাদক চোরাচালান ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অব্যাহত রেখেছে। উপজেলার নাফনদী ও বঙ্গোপসাগরের উপকূলে রয়েছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। অভিযোক্ত মিজান বরইতলী এলাকার মৃত ইসলামের পুত্র।

এ সিন্ডিকেট এর নাম দেয়া হয়েছে মিজান বাহিনী। মিজান নিজেকে আইনশৃংখলা বাহিনীর সোর্স পরিচয়ে বীর দর্পে ঘুরে বেড়ায়। সে বলে থাকে তার হাত নাকি অনেক লম্বা। এই পিচ্চি মিজানের পূর্বপুরুষ মিয়ানমারের নাগরিক। সে সুবাদে রাখাইন রাজ্য থেকে তার ঘটিত চার সদস্য বিশিষ্ট সিন্ডিকেট এর নামে দু দেশের সীমান্ত পয়েন্টে মাদক-মানবপাচার ও চোরাচালান বানিজ্য বেপরোয়া। তার পরিচয়ে ক্ষমতার দাপট চলে এলাকায়। এতে তার অপকর্মে এলাকবাসী অতিষ্ঠ। সে বর্তমানে টেকনাফ সদর ৯ নং ওয়ার্ডের কেরুনতলী এলাকায় বসবাস করছে বলে সূত্রে জানা যায়। এই ঘটনায় টেকনাফ সীমান্ত এলাকায় চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। এই মিজান একই এলাকার অপর মিজান কে দোষারুপ করছে অনেকে। কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরে দায়িত্বে নিয়োজিত ইঞ্জিন বোটের চালক মিজান সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিশ্বস্থ একজন যুবক।সে দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন তকমা দিয়ে আসছে ঐযুবকটি। কেরুনতলী সীমান্ত পয়েন্টে চোরাচালান সুবিধা করতে না পেরে কোস্টগার্ডের ড্রাইভার মিজানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।অভিযোগ উঠেছে যে উক্ত আলোচিত পয়েন্ট নিয়ে মাদক ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকালে সীমান্তে দায়িত্বে নিয়োজিত আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে মালামাল জব্দ হলে সে স্থানীয় নিরীহ মানুষের নাম জড়িয়ে দেয় বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ উঠেছে। তার এসব অপকর্মে এলাকাবাসী রীতিমতো অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। স্থানীয় টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নজির আহমদ এ প্রসঙ্গে জানান,কেরুনতলীতে কয়েক জন মিজানের মধ্যে তার নাম ও কিন্তু মিজান। সুতরাং এ মিজানের যে কোন মাদক ও রোহিঙ্গা সহ বিভিন্ন মালামাল নাইট্যংপাড়া উঠনি,বরইতলী,কেরুনতলী ও ১৪ নং ব্রিজ দিয়ে মিয়ানমার থেকে প্রবেশকালে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে অন্য মিজানের নাম দিয়ে নিজেকে আড়াল করে সে পার পেয়ে যায়। এ নিয়ে বিভ্রান্তিতে এলাকাবাসী।