পেনশনের প্রত্যয় স্কিম: অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা শিক্ষকদের প্রত্যাখ্যান

সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের মূল ফটকে অবস্থান কর্মসূচিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক নিজামুল হক ভূইয়া প্রত্যাখ্যানের এ ঘোষণা দেন।

তবে প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহার করে আগামী বছর সরকারি কর্মচারীদের জন্য ‘সেবক’ নামে যে স্কিমের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তাতে যেতে কোনো অসুবিধা নেই বলে জানান তিনি। এ সময় তিনি শিক্ষকদের সুপারগ্রেড দেওয়ার দাবিও জানান।

তিনি বলেন, প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহার করে আগামী বছর সেবক নামে যে স্কিম হচ্ছে, সেখানে সবার জন্য যে সুযোগ-সুবিধা হবে, আমরা সেখানে যাব। কোনো অসুবিধা তো নেই। দেশের স্বার্থে সবার জন্য যা হবে, আমাদের জন্য তা হবে।

এর আগে ‘সার্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যয়ের শুভযাত্রা ও প্রাসঙ্গিক বিষয়ের স্পষ্টীকরণ’ শিরোনামে এক বিজ্ঞপ্তি দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ৬৫ বছরে অবসর সুবিধা, পদোন্নতির ক্ষেত্রে সার্ভিস প্রটেকশন ও পে প্রটেকশন সুবিধা, পিআরএল ছুটি বহালের কথা জানানো হয়।

এ ব্যাখ্যার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে অধ্যাপক নিজামুল হক ভূইয়া বলেন, এতদিন কোথায় ছিল? আমরা এতদিন বিবৃতি-স্মারকলিপি দিয়েছি, সংবাদ সম্মেলন করেছি। সাড়ে তিন মাস আগে যদি আমরা জানতাম বয়সসীমা ঠিকই আছে, তাহলে শিক্ষকরা এত ক্ষুব্ধ হতেন না। আন্দোলনকে স্তিমিত করার জন্য এখন একটা ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের আমরা বিশ্বাস করি না। ২০১৫ সালে তারা আমাদের রাস্তায় নামিয়েছে। সুপার গ্রেড আমাদের দেয়নি। তখন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, একটি কমিটিও হয়েছে। তবে নয় বছরেও আমরা সুপার গ্রেড পাইনি। তখনও আশ্বাস দিয়েছে। সুতরাং আশ্বাস দিলে হবে না। আমাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বসতে হবে। আমাদের সুপার গ্রেড দিতেই হবে।

শিক্ষার্থীদের স্পেশাল ক্লাস-পরীক্ষার মাধ্যমে ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়া হবে জানিয়ে অধ্যাপক নিজামুল  হক বলেন, এটি দুঃখজনক। শিক্ষার্থীদের ক্লাসে না নিয়ে আমরা আন্দোলন করছি। তবে যে ক্ষতি হবে, স্পেশাল ক্লাস-পরীক্ষা নিয়ে পুষিয়ে দেওয়া হবে।