ইসরাইলে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

করোনা ভাইরাস মহামারি জাপটে ধরেছে পুরো বিশ্বকে। দেশে দেশে লকডাউন মেনে ঘরের ভেতর অবস্থান করছে মানুষ। এর মধ্যে ইসরাইলের তেল আবিবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে ঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে এসেছে হাজার হাজার মানুষ। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে প্লেকার্ড ধরে, স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করেছে তারা। এ খবর দিয়েছে সিএনএন।
খবরে বলা হয়, করোনা সংক্রমণ রোধে ইসরাইলজুড়ে লকডাউন জারি রয়েছে। তবে সরকারের নীতিমালা মেনে দেশটিতে বিক্ষোভ করার অনুমোদন রয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় ওই নীতিমালা মেনে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন ৫ হাজারের বেশি মানুষ। বিক্ষোভের আয়োজকরা জানান, তারা রাবিন স্কয়ারে ২ মিটারের ব্যবধানে ২ হাজার ৮০০ স্থান চিহ্নিত করে রেখেছিলেন বিক্ষোভকারীদের জন্য।
তবে বিক্ষোভে এর দ্বিগুণ পরিমাণ মানুষ যোগ দিয়েছে। অনেকে স্কয়ারের আশপাশে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করেছেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, নেতানিয়াহু ইসরাইলের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছেন।
রোববারের ওই বিক্ষোভে যোগ দেন পার্লামেন্ট সদস্য ইয়াইর লাপিদ। তিনি তার বক্তব্যে নেতানিয়াহু ও পার্লামেন্ট স্পিকার বেনি গান্টজের তীব্র সমালোচনা করেন। গান্টজ কয়দিন আগ পর্যন্ত লাপিদের দলের সদস্য ছিলেন। তবে একমাস আগে দল ছেড়ে নেতানিয়াহুর অধীনে কাজ করতে রাজি হন। তার এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়েছেন লাপিদ।
লাপিদ বলেন, কেউ দুর্নীতির ভেতরে ঢুকে এর বিরুদ্ধে লড়াই করে না। আপনি যদি ভেতরে থাকেন, তার মানে আপনি এর সঙ্গে জড়িত। আমরা এখানে বলতে এসেছি যে, আমরা কখনো হাল ছাড়বো না। অনেক ভালো মানুষ ইতিমধ্যে নিজেদের সমর্পণ করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, একবিংশ শতাব্দীতে গণতন্ত্র এভাবেই মরে। পার্লামেন্টে ট্যাংক ঢুকিয়ে গণতন্ত্র মুছে ফেলা হয় না। গণতন্ত্র মরে ভেতর থেকে। কারণ, ভালো মানুষেরা নীরব থাকে ও দুর্বলেরা আত্মসমর্পণ করে। বাইরে থেকে সব দেখতে একইরকম লাগে। পার্লামেন্ট তার জায়গায় থাকে, পুলিশ একই পোশাক পড়ে একই গান বাজায়। নেতাও পাল্টায় না। তাকে দেখতে, শুনতে আগের মতোই লাগে। কিন্তু সেটা গণতন্ত্র থাকে না।