শুধু যুদ্ধ ক্ষেত্র নয়, মানুষ রক্ষায় সেনাবাহিনী অতন্দ্র প্রহরী

বাংলাদশেে লকডাউন২৪ পদাতিক ডিভিশনের অফিসারদের সাথে পরামর্শ সভায় মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ. জ. ম. নাছির উদ্দীন বলেছেন, মানবিক ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসার ও সাধারণ সৈনিকদের গৌরবদীপ্ত প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও সংঘাত ও বিরোধপূর্ণ বিভিন্ন দেশে জাতি সংঘের শান্তি মিশনে বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর অবদান বিশেষ সর্বাধিক প্রশংসিত।একইভাবে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় প্রশাসন ও আইন শৃংখলা বাহিনীকে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা এবং লকডাউনকালীন সময়ে নাগরিকদের ঘরে থাকার সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সহায়ক শক্তি হিসেবে তারা মাঠে থেকে রাষ্ট্রিয়,সরকারি ও সামাজিক দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত রয়েছেন। তাই তারা দূর্যোগকালীন দু:সময়ে সংকট উত্তরণে এবং করোনা বিরোধী যুদ্ধে চিকিৎসক,স্বাস্থ্য কর্মী সহ অন্যান্য সেবা সংস্থার সংশ্লিষ্টদের মতই ফ্রন্ট লাইনের যোদ্ধা হিসেবে নিবেদিত রয়েছেন। তিনি আরো বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আটকে পড়া বাংলাদেশীদের স্বদেশে ফিরিয়ে আনার সরকারি সিদ্ধান্তানুযায়ী তাদের উপরেই দায়িত্ব বর্তেছে প্রত্যাগত বাংলাদেশীদের বাধ্যতামূলক কোরাইন্টাইনের বিষয়টি তদারকি ও বাস্তবায়ন করা। এই দায়িত্ব পালনকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন তাদের স্বাস্থ্যগত সুরক্ষা এবং তাদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত কোরাইন্টাইন কেন্দ্রগুলোকে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমকে যাবতীয় সহযোগিতা সহ প্রয়োজনীয় সার্ভিস প্রদান করবে। তিনি আজ সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সম্মেলন কক্ষে ২৪ পদাতিক ডিভিশনের দায়িত্বরত অফিসারদের সাথে অনুষ্ঠিত এক পরামর্শমূলক মতবিনিয় সভায় একথাগুলো বলেছেন। তিনি সেনা কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় আপনাদেরকে আরো বড় ধরনের দায়িত্ব দেয়া হতে পাারে। এমনকি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবেও আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হতে পারে। আমার বিশ্বাস যখন যা প্রয়োজন তা পালনের সক্ষমতা আপনাদের আছে। কারণ আপনারা শুধু দেশ রক্ষা নয় দূর্যোগ সকল দূর্যোগকালীন সময়ে মানুষ প্রাণী জগত ও প্রকৃতি রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী।
এই পরামর্শ সভায় করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ২৪ পদাতিক ডিভিশনের সেনাবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকারি নির্দেশনানুযায়ী আমাদের উপর পবিত্র দায়িত্ব বর্তেছে তা শতভাগ পালনে আমরা দেশপ্রেমে উদ্বূদ্ধ হয়ে মানবতার সেবায় যুদ্ধকালীন সময়ের মতই প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আমাদেরকে নিয়ে পরামর্শমূলক সভা করার জন্য মেয়র আ.জ ম নাছির উদ্দীনকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের সেবামূলক কর্মকান্ডে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে তিনি যে সার্বিক সহযেগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তাতে আমরা অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত। এসময় প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর ড.নিছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জু, চসিক সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, লে. কর্ণেল শাহাজাত, মেজর মো. সালাউদ্দিন, চসিক প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা সফিকুল মান্নান সিদ্দিকী, তত্ত্ববায়ক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) ঝুলন কান্তি দাশ, উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য যে, বিদেশ প্রত্যাগত বাংলাদেশীদের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোরাইন্টাইন সেন্টার জহুর আহমদ চৌধুরী বিভাগীয় স্টেডিয়াম ও আমিন জুটমিল সংলগ্ন টেক্সটাইল কলেজে স্থাপিত কোরারাইন্টান সেন্টরের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন যথাক্রমে লে. কর্ণেল শাহাজাত ও মেজর মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। এই প্রসঙ্গে আরো উল্লেখ্য যে, সম্ভ্যবত আগামী ২২ এ এপ্রিল চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বিদেশে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের প্রথম ফ্লাইটটি অবতরণ করতে পারে। অত:পর বিমানবন্দর থেকে স্বদেশপ্রত্যাগত যাত্রীদের সেনাবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার ও অন্যন্য কর্মকর্তারা গ্রহণ করে তাদেরকে জহুর আহমদ চৌধুরী বিভাগীয় স্টেডিয়াম ও আমিন জুট মিল সংলগ্ন টেক্সটাইল কলেজে স্থাপিত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারাইন্টাইন সেন্টারে নিয়ে যাবেন।