শাওন ইমতিয়াজ:: চট্টগ্রামে করোনা চিকিৎসায় হাসপাতাল অপ্রতুল, এই ভাবনা থেকে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়ার উদ্যেগে সাড়া দেয় নাভানা গ্রুপ। এর পরই তা শুরু হয়ে মাত্র ২০ দিনে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় চট্টগ্রামে ফিল্ড হাসপাতাল দৈরি হয়। আশার খবর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ফিল্ড হাসপাতাল মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) চালু হচ্ছে।
চট্টগ্রামের সন্তান ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়ার উদ্যোগে গ্রুপের সহায়তায় সীতাকুণ্ড উপজেলার ছলিমপুরে নাভানা গ্রুপের দ্বিতল ভবনের অটোমোবাইল কারখানার অভ্যন্তরে ৬ হাজার ৮০০ বর্গফুট জায়গায় প্রস্তুত করা ফিল্ড হাসপাতালে বর্তমানে ভ্যান্টিলেটরসহ ১০ শয্যার আইসিইউ(যা দু ধাপে ব্যবহার উপযোগী হবে) এবং ৫০টি সাধারণ শয্যা থাকছে। রোগীদের আনা নেয়া করতে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও থাকবে।
‘করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ১০ সদস্যের চিকিৎসক টিম কাজ করবে। সেই সাথে নার্স এবং চিকিৎসা সহকারীও থাকছে। এর বাইরে আরও কিছু কাজ রয়েছে যাতে সহায়তা করতে ১০০ জনের একটি স্বেচ্ছাসেবক টিম রাখা হয়েছে।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ব্যক্তি ও সংস্থা ফিল্ড হাসপাতালের জন্য বেড, পিপিইসহ নানা সামগ্রী ও অর্থ অনুদান হিসেবে প্রদান করছে।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের উদ্যোক্তা ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া বলেন, ‘করোনায় আক্রান্তদের সেবা প্রদানের লক্ষ্যে আমরা ফিল্ড হাসপাতাল প্রস্তুত করেছি। আর এ কাজে সহায়তা করেছে নাভানা গ্রুপ। ইতোমধ্যে সরকারি স্বাস্থ্য প্রশাসন থেকে প্রয়োজনীয় অনুমোদন পাওয়া গেছে। হাসপাতালের প্রয়োজনীয় সকল সরঞ্জাম স্থাপন এবং লোকবল নিয়োগ করা হয়েছে। তাছাড়াও এ কাজে প্রশাসন থেকে আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ সহায়তা করেছে। মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) থেকে আমরা রোগী ভর্তি করাতে পারবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ১০ সদস্যের চিকিৎসক টিম কাজ করবে। সেই সাথে নার্স এবং চিকিৎসা সহকারীও থাকছে। এর বাইরে আরও কিছু কাজ রয়েছে যাতে সহায়তা করতে ১০০ জনের একটি স্বেচ্ছাসেবক টিম রাখা হয়েছে। তাছাড়া ৪০টির মত বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। থাকছে ভেন্টিলেটর সুবিধাও। রোগীদের আনা নেয়া করতে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও থাকবে।
উল্লেখ্য ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার ভাই










