চবি ইনোভেশন হাব পরিদর্শনে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দল

উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে একটি উদ্ভাবনী ইকোসিস্টেম বিকাশ, শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবন ও কর্মোপযোগী করে গড়ে তুলতে পারলেই দেশে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে: চবি উপাচার্য

বিশ^ ব্যাংকের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল ১৮ এপ্রিল ২০২৪ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ইনোভেশন হাব পরিদর্শন করেন। এদিন বেলা ১১:০০টায় প্রতিনিধি দলের সদস্যবৃন্দ চবি উপাচার্যের অফিস কক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এ সময় চবি মাননীয় উপ-উপাচার্যদ্বয়, চবি আইসিটি সেলের পরিচালক ও চবি ইনোভেশন হাবের ফোকাল পার্সন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম, চবি মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ আবুল কাসেম ও চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে. এম নুর আহমদ উপস্থিত ছিলেন। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন- বিশ^ ব্যাংকের অর্থনীতিবিদ রামি গালাল, কনসালটেন্ট জামিল ওয়াইন, আর্থিক বিষয়ে বিশেষজ্ঞ সোফি ডং, বিশ^ব্যাংকের পরামর্শক মাইকেল ডোভ, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক অথরিটি’র ডিইআইইডি এর উপ প্রকল্প পরিচালক ড. মোঃ মনসুর আলম, ডিইআইইডি এর পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ড. মোঃ বিল্লাল হোসাইন, ইনোভেশন এন্ড কমিউনিকেশন বিশেষজ্ঞ এ. এন. এম. সফিকুল ইসলাম, এনডিই ইনফ্রাটেকের ইউআইএইচ প্রোগ্রামের কৌশলগত পরামর্শক ড. অনন্য রায়হান ও প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর তৌহিদুল ইসলাম।
মাননীয় উপাচার্য প্রতিনিধি দলের সদস্যদের চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের অনিন্দ্য সুন্দর সবুজ ক্যাম্পাসে স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন,“বর্তমান সরকার দেশের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে উদ্যোক্তা ও স্টার্ট আপদের উন্নয়নের লক্ষ্যে ইনোভেশন হাব প্রতিষ্ঠা করছে। এর সাথে যুক্ত থাকবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ (আইডিয়া) প্রকল্প। ইনোভেশন হাব প্রতিষ্ঠার ফলে তরুন গবেষক ও উদ্যোক্তারা প্রযুক্তিগত ও ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে নতুন নতুন জ্ঞান অর্জন করতে পারবে যা তাঁেদর উদ্ভাবন ও স্টার্টআপকে সফলভাবে এগিয়ে নিতে সক্ষম হবেন।” মাননীয় উপাচার্য বলেন, “বাংলাদেশ বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘মুজিব ১০০ আইডিয়া’ প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়, যাতে দেশের শীর্ষ ১০০ উদ্যোগকে ইনোভেশন হাবের মাধ্যমে মেন্টরিং ও গ্রুমিং প্রদান করা হয়। এ আয়োজনের ফলে স্টার্ট আপরা তাঁদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নিজেদের দক্ষ, যোগ্য ও স্মার্ট মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে উঠতে সক্ষম হবেন। দেশের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে একটি উদ্ভাবনী ইকোসিস্টেম বিকাশ ও শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবন এবং কর্মোপযোগী করে গড়ে তুলতে পারলেই দেশে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।” দেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত ইনোভেশন হাব আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষা ও শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনে দৃশ্যমান অবদান রাখবে মর্মে মাননীয় উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মাননীয় উপাচার্য চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে ইনোভেশন হাব প্রতিষ্ঠায় সার্বিক সহযোগীতার জন্য বিশ^ব্যাংক, আইসিটি মন্ত্রণালয়, হাই-টেক পার্কসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
প্রতিনিধিদলের সদস্যবৃন্দ বিশ^বিদ্যালয়ের সবুজ ক্যাম্পাস, মনোরম পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হন। তাঁরা চবি নবনির্মিত ইনোভেশন হাব ঘুরে দেখে অত্যন্ত সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ইনোভেশন হাবে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রতিযোগীতামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। প্রতিনিধিদল চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে ইনোভেশন হাবের কার্যক্রমের গতিশীলতা আনয়নে এবং এ বিশ^বিদ্যালয়ের একাডেমিক উন্নয়ন কার্যক্রমে তাঁদের সহযোগীতা অব্যাহত থাকবে মর্মে আশ^াস প্রদান করেন। পরে প্রতিনিধিদলের সদস্যবৃন্দ ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় ইনোভেশন হাব এর ভুমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারে গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

চবি ইনোভেশন হাব পরিদর্শনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।