চট্টগ্রামের রাজনীতির ইতিহাসে খলিল খান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন

খলিল খান স্মৃতি পরিষদের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে কে এম ফেরদৌস

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কে এম ফেরদৌস বলেছেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আহম্মদ খলিল খান বিএনপির রাজনীতিতে ছিলেন একজন কর্মীবান্ধব ও ত্যাগী নেতা। তিনি মৃত্যুর আগে পর্যন্ত দলীয় আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে বিএনপিকে শক্তিশালী করতে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। খলিল খান ছিলেন একজন প্রকৃত গণমানুষের নেতা। তিনি অসহায় নিপীড়িত মানুষের অধিকারের জন্য সব সময় সংগ্রাম করেছেন। তিনি সিডিএ’র সদস্য থাকাকালীন সময়ে বোয়ালখালী ও চট্টগ্রামের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি জীবিত থাকবেন তার এলাকার মানুষের কাছে, বিএনপির কাছে। চট্টগ্রামের রাজনীতির ইতিহাসে খলিল খান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তিনি থাকবেন মানুষের হৃদয়ে।

তিনি শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নগরীর ষ্টেশন রোড়স্থ হোটেল সৈকতের হলরুমে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মরহুম আহম্মদ খলিল খানের আত্মার মাগফেরাত কামনায় আহম্মদ খলিল খান স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও স্মৃতি পরিষদের উপদেষ্টা ইদ্রিছ মিয়া চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে ও জিয়া উদ্দিন চৌধুরী আশফাকের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শেখ মহিউদ্দিন, সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের আহবায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহনওয়াজ।

এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে একরামুল করিম বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার
নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে খলিল খান যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন তা বিএনপির নেতাকর্মীদের সবসময় অনুপ্রাণিত করবে। তিনি শহীদ জিয়ার আদর্শে আস্থাশীল হয়ে বিএনপিকে সুসংগঠিত করতে যে অবদান রেখেছেন নেতাকর্মীরা তা কোনোদিন ভুলবে না। মানুষ তার কর্মের মাধ্যমে বেঁচে থাকেন। খলিল খানও রাজনৈতিক কর্মের মাধ্যমে আমাদের মাঝে অনন্তকাল বেঁচে থাকবেন। দলের প্রতি তার অবদানকে আমরা আজীবন স্মরণে রাখবো।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক শেখ মহিউদ্দিন বলেন, মরহুম খলিল খান দক্ষিণ চট্টগ্রামে এবং বোয়ালখালীতে বিএনপিকে সুসংগঠিত করে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি আজীবন সক্রিয়ভাবে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বিএনপির রাজনীতিতে তিনি সকল ধরণের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছিলেন। এজন্য তিনি দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিকট ছিলেন অত্যন্ত প্রিয়। তার সংগ্রামী ভূমিকার জন্য তিনি দলের নেতাকর্মীর কাছে আজীবন বেঁচে থাকবেন।

এতে বক্তব্য রাখেন মরহুম খলিল খানের সন্তান মো. জাবেদ খান, বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন খান মুকুল, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আজিজুল হক চেয়ারম্যান, কামরুল ইসলাম হোসাইনী, সিরাজুল ইসলাম সওদাগর, এড. নুরুল ইসলাম, নবাব মিয়া, জসিম আবদুল্লাহ, বিএনপি নেতা অধ্যাপক শামসুদ্দোহা চৌধুরী, আবু তাহের চৌধুরী, মো. আলী কুসুমপুরি, নূর মোহাম্মদ চেয়ারম্যান, এড. এরশাদুর রহমান রিটু, নুরুন্নবী চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান মান্না, মো. হাসান আলী, গাজী শাহাদাত হোসেন, আবু তাহের বিএসসি, এড. শেখ জামাল উদ্দিন, এড. লোকমান শাহ, এড. ওয়াহিদুল ইসলাম, মো. সোলায়মান, দেলোয়ার হোসেন বাহার, আবদুল হামিদ তালুকদার, আবু বক্কর প্রমূখ।