শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে তদন্ত কমিটি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যপক আব্দুল খালেক চৌধুরীর (ডলার) বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন এক ছাত্রী। এ ঘটনায় মঙ্গলবার অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই ছাত্রী। অভিযোগ পেয়ে এ ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। অভিযোগে ওই শিক্ষার্থীর দাবি করেন, ২০২২ সালে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক তার বাড়িতে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেন শিক্ষক। ওই শিক্ষক বলেন ‘কলেজ থেকে পাস করে যেতেই দেবো না, তোর পাস ফেল আমার হাতে।’ কলেজে গেলে হাত থেকে ফোন নিয়ে নিতেন। ডিলিট করে দিতেন মেসেঞ্জারের আপত্তিকর সব মেসেজ। এভাবে দীর্ঘদিন ধরেই তাকে যৌন হয়রানি করে আসছেন। গত ১লা এপ্রিল ওই শিক্ষক কলেজ ক্যাম্পাসে তাকে ৩ লাখ টাকা দিয়ে একটি কাগজে স্বাক্ষর করতে বলেন। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তিনি নানান কৌশল করছেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীর।

কলেজছাত্রী নিজেকে নিরুপায় দাবি করে এ ঘটনার বিচার না পেলে ফেসবুক পোস্টে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন। অভিযুক্ত শিক্ষকের ছবি দিয়ে যৌন হয়রানির কথাও লিখেছেন ফেসবুকে।
তবে অভিযুক্ত শিক্ষক বিষয়টি অস্বীকার করে মানবজমিনকে জানান, সুনাম নষ্ট করার লক্ষ্যে তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে কতিপয় শিক্ষকও জড়িত। তাকে এই কলেজ থেকে সরানোর পরিকল্পনায় ওই ছাত্রীকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ ড. মোজাহারুল ইসলাম তরু জানান, ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ পাওয়ার পর মঙ্গলবার দুপুরে সভা করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. আব্দুর রউফকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণ হলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। সুজন’র চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন জুয়েল বলেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যৌন নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নারীদের জন্য ক্রমেই অনিরাপদ হয়ে উঠছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিটি যৌন হয়রানির ঘটনা তদন্ত হওয়া উচিত। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।