সাউদার্ন ইউনিভার্সিটিতে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ উদযাপন করলো স্বাধীনতার ৫৩ বছর ও জাতীয় দিবস। জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুরআন তেলাওয়াত, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, আবৃত্তি, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভাসহ নানা আয়োজনে স্বাধীনতা দিবস পালন করে ইউনিভার্সিটি কতৃর্পক্ষ।

ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস বায়েজিদ আরেফিন নগরে হল রুমে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক প্রকৌশলী আশুতোষ নাথের সভাপতিত্বে আয়োজিত বিশেষ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ—উপাচার্য অধ্যাপক এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ ড. শরীফ আশরাফউজ্জামান, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শরীফুজ্জামান, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল মনসুর চৌধুরী, কলা, সমাজবিজ্ঞান ও আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক চৌধুরী মোহাম্মদ আলী। আরও উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন বিভাগের  প্রধানগণ, শিক্ষকবৃন্দ. কর্মকতার্সহ শিক্ষার্থীরা।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে রচিত হয়েছিল বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের। শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সেই সব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাদের প্রাণের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি। কৃতজ্ঞতা ও সালাম জানায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যাঁর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য উদ্বুদ্ধ হয়েছিলো এ দেশের মানুষ। এ দেশে বঙ্গবন্ধুর মতো একজন নেতার জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামের কোনো স্বাধীন দেশ জন্ম হতো না। এটি বাঙালি জাতির জীবনে অনন্য একটি দিন, সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা জোগায় দিনটি।

বক্তারা আরও বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অর্জিত হয়েছিলো স্বাধীনতা, তাই মহান এই অর্জনকে ঐক্যবদ্ধভাবেই রক্ষা করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর দেখানো আদর্শ বুকে ধারণ করে দেশপ্রেমের মাধ্যমে সোনার বাংলা বিনিমার্ণে আমাদের সকলকে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে আত্মনিয়োগ করতে হবে। সত্যিকার অর্থে দেশকে ভালোবাসতে পারলে তবেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের মর্যাদা অক্ষুন্ন থাকবে। পরে বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত  কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।