বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকালে ভারতীয় আইএসের শীর্ষ দুই নেতা গ্রেপ্তার আসামে, একজনের স্ত্রী বাংলাদেশি

বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকালে ভারতীয় ইসলামিক স্টেট বা আইএসের শীর্ষ দুই নেতাকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে আসাম পুলিশ। তাদের দাবি এরা হলেন, আইএসের প্রধান হারিস আজমল ফারুকি ও অন্যজন অনুরাগ সিং ওরফে রেহান। বুধবার সকালে বাংলাদেশ থেকে বেআইনিভাবে প্রবেশ করার অল্প পরেই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয় ধুবরি জেলায়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান টাইমস।

পুলিশ কর্মকর্তা সিপিআরও প্রণবজ্যোতি গোস্বামী এক বিবৃতিতে বলেছেন, তারা সহযোগী এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে খবর পান যে ওই দুই আইএস নেতা ভারতে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। তারা প্রতিবেশী বাংলাদেশে ক্যাম্প করে ছিলেন বলে জানানো হয়। বলা হয়, স্যাবোট্যাজমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে তারা ধুবরি সেক্টর দিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করতে পারে। এসব তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তাদেরকে শনাক্ত করতে এবং গ্রেপ্তার করতে মঙ্গলবার ধুবরি জেলায় এসটিএফ টিম পাঠানো হয়। তিনি আরও বলেন, এই দুই অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে আন্তর্জাতিক সীমান্তে তল্লাশি শুরু হয়। এরপর এই দুই ব্যক্তি সীমান্ত অতিক্রম করার পর ধুবরি জেলার ধর্মশালায় তাদেরকে শনাক্ত করা হয়। দু’জনকেই গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয় গুয়াহাটিতে এসটিএফ অফিসে।
প্রণবজ্যোতি গোস্বামী বলেন, তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।

দেখা গেছে এর একজন হলেন ভারতে আইএসের প্রধান হারিস আজমল ফারুকি ও অন্যজন অনুরাগ সিং ওরফে রেহান। আদতে পানিপথের বাসিন্দা অনুরাগ সিং ধর্মান্তরিত হয়ে রেহান নামে আইএসে যোগ দিয়েছেন। তার স্ত্রী বাংলাদেশের নাগরিক। তবে তার নাম পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে আসামে ঢোকার ছক ছিল এই দুই নেতার। সেই খবর পৌঁছে যায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে। তথ্যের ভিত্তিতে ধুবরিতে কাজ শুরু করে আসাম পুলিশের এসটিএফ। ভারতে নানা সন্ত্রাসমূলক কাজের সঙ্গে জড়িয়েছে এই দুই নেতার নাম। এনআইএ ছাড়াও দিল্লি ও লক্ষ্ণৌ পুলিশের নজরে ছিল তাদের নাম। আসাম পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলেও আগামী দিনে এনআইএর হাতে তুলে দেওয়া হবে এই যুবককে। বলে রাখা প্রয়োজন- হারিস ফারুকির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আছে।
সিপিআরও বলেছে, এই দুই নেতাই ভারতে উচ্চ মাত্রায় আইএস নেতা এবং তারা এই গ্রুপের নেতা ও সদস্যদেরকে অনুপ্রাণিত করেন। ভারতে বিভিন্ন স্থানে বিস্ফোরক (আইইডি) ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, সদস্য নিয়োগ এবং অর্থায়নে কাজ করতেন আইএসের জন্য। এনআইএ, দিল্লি, এটিএস, লক্ষ্ণৌতে তাদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা মুলতবি অবস্থায় আছে। দিল্লিতে আইএস মডিউলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা ফারুকি। তিনি আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির সাবেক ছাত্র। আলিগড় মডিউলের প্রতিষ্ঠাতা তিনি এমনটা সন্দেহ করা হয়।