আওয়ামী লীগের সদস্য হয়ে সাকিব এমপি হয়েছেন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ক্রিকেটের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের কিংস পার্টি হিসেবে পরিচিত বিএনএমে যোগদানের বিষয়ে কোনো তথ্য নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সাকিব আওয়ামী লীগের টিকিটে মাগুরা থেকে ইলেকশন করেছে। জয়লাভ করেছে। পার্টির কাছে নমিনেশন চাওয়ার সময় সে পার্টির সদস্য। তার আগে তো সাকিব আমাদের পার্টির কেউ ছিল না। নির্বাচনে নমিনেশন নিতে হলে তাকে তো দলের প্রাইমারি সদস্য পদ নিতে হয়। সে শর্ত পূরণ করা দরকার সেটা সে করেছে। সেভাবেই আমরা মনোনয়ন দিয়েছি, সে এমপি হয়েছে নির্বাচনে। আমি এই বিষয়ে কিছু জানি না। গতকাল রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিএনএম গঠনে পেছন থেকে কাজ করেছেন বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ। সাকিব আল হাসান সেই দলে যোগ দিয়েছিলেন। হাফিজ উদ্দিন আহমদ ও সাকিবের একটি ছবিও প্রতিবেদনের সঙ্গে প্রকাশিত হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকারি দল কিংস পার্টি করতে যাবে কেন? নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতিতে অনেক ফুল ফোটে। কোনটা কিংস পার্টি, কোনটা প্রজা পার্টি এটা সম্পর্কে আমার জানা নেই। এটার রেজিস্ট্রেশন করে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন। কোন দল কে রিকগনিশন করে এটা নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। এখানে আমাদের কিছু বলার নেই। এ সময় তিনি সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনের মান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রতিষ্ঠানের রিপোর্টের বিষয়ে বলেন, আমরাও তো একটা দেশ। গণতন্ত্রের বিষয়ে আমাদেরও একটা মানদণ্ড আছে। পারফেক্ট কেউ না পৃথিবীতে। আমরাও পারফেক্ট এই দাবি আমরা করি না। আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমানে নিশ্চিত প্রায় রিপাবলিকানদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী তিনি তো বলেছেন আমি ইলেক্টেড না হলে রক্ত বন্যা বয়ে যাবে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের গত নির্বাচন নিয়ে বিরোধীরা বলে যে সত্যিকারের নির্বাচন হয়নি। নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে সাবেক প্রেসিডেন্ট আজ পর্যন্ত মেনে নেয়নি। কাজেই মানদণ্ড কোথায় কী সেটা বোঝা হয়ে গেছে। আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যার পর একুশ বছর ডিক্টেটরশিপ এবং তাদের সিবলিংস এরাই বাংলাদেশে কর্তৃত্ব করেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর গণতন্ত্রকে শৃঙ্খল মুক্ত করার জন্য লড়াই সংগ্রাম করেছেন। এবং সেই সংগ্রামে আমরা বিজয়ী হয়েছি। এ সময় সহযোগী সংগঠনগুলোর মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি গঠন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, যেসব সংগঠনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে সেগুলোর সম্মেলনের বিষয়ে আমরা চিন্তা করবো। তবে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার চূড়ান্ত মালিক হচ্ছে ওয়ার্কিং কমিটি। ওয়ার্কিং কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।