সংসদ থেকে পদত্যাগ চাইলেন মিমি চক্রবর্তী

গত কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন ছিল সংসদ সদস্য পদ ছেড়ে দেবেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে দেখা করতে যান অভিনেত্রী। আর এতেই জোরালো হতে থাকে গুঞ্জন।

টালিউডের জনপ্রিয় এ নায়িকা বিধানসভা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের জানান, যাদবপুরের তৃণমূল সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ চেয়ে ইস্তফা দিতে গিয়েছিলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান না। দুদিন আগেই নিজের পদত্যাগপত্র তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

এদিন মমতা ব্যানার্জির কাছে গিয়ে ইস্তফা দিলেও মুখ্যমন্ত্রী সেটি এখনও গ্রহণ করেননি। অভিনেত্রী জানান, মুখ্যমন্ত্রী ইস্তফা গ্রহণ করলে লোকসভার স্পিকারের কাছে গিয়েও ইস্তফা দেবেন তিনি।

রাজনীতি কেন ছাড়ছেন মিমি চক্রবর্তী?
বিধানসভা থেকে বের হয়ে সংসদ সদস্য পদ থেকে সরে আসার কারণ জানিয়েছেন মিমি। তিনি বলেন, ‘রাজনীতি আমার জন্য নয়। এটা আমি বিশ্বাস করি। আমি যদি কোনো বাজে কাজ করতাম তাহলে আপনারা সবার আগে দেখতেন। এছাড়া আমি কখন নিজের কিংবা বিপক্ষ দলকে নিয়েও কখনও কোনো খারাপ মন্তব্য করিনি। জেনেশুনে কখনও কারও ক্ষতি করিনি আমি।’

টালি অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘আমি রাজনীতিক নই। আর কখনও রাজনীতিক হবোও না। আমি সবসময় একজন কর্মী হিসেবে মানুষের জন্য কাজ করতে চেয়েছি। আমি এখানে কাজ গোণাতে আসিনি।’

মিমি বলেন, লোকসভায় কতদিন উপস্থিত থেকেছি আমি, সেসব নিয়ে মানুষের মাথাব্যথা। এক মাস দিল্লিতে থাকলে মানুষ বলবে সংসদ সদস্য দিল্লিতে থাকেন, এখানে তিনি কাজ করেন না। আবার এখানে থাকলে বলা হবে, সংসদে উপস্থিতি কম আমার। সবদিকে ভারসাম্য রাখতে হয়।

অভিযোগ করে মিমি বলেন, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সাথে আমার মতপার্থক্য রয়েছে। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন যে তিনি সমস্যাগুলো দেখবেন।

‘যাদবপুরের জন্য আমার একটি স্বপ্ন ছিল, কিন্তু আমি অনেক বাধার সম্মুখীন হয়েছি। একজন ব্যক্তি যখন চলচ্চিত্রের ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসে, এই বলে যে সে কাজ করে না তখন তাকে অপমান করা খুব সহজ, বলেলেন মিমি।

টালিউডের জনপ্রিয় এ নায়িকা ২০১৯ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে যাদবপুর থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি রাজনৈতিক হেভিওয়েটদের পরাজিত করেছিলেন। এরা হলেন বিজেপির অনুপম হাজরা এবং সিপিএমের বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য।

উল্লেখ্য, অভিনেত্রী মিমি নাকি কয়েকদিন নানাভাবে অপমানিত হয়েছেন। এ নিয়ে মানসিক যন্ত্রণায়ও ভুগছিলেন। এ ব্যাপারে নাকি দলের নেত্রী মমতা ব্যানার্জির কাছে চিঠিও দিয়েছিলেন। তাতে নিজের ক্ষোভের কথা জানিয়েছিলেন। আর এবার সংসদ সদস্য পদ থেকে ইস্তফা চাইলেন টালি তারকা মিমি।