মিরসরাইয়ে ডিজিটাল ভূমি জরিপে অনিয়ম তদন্তে দুদক

মিরসরাই প্রতিনিধি:::
মিরসরাইয়ের করেরহাট ইউনিয়নে ডিজিটাল ভূমি জরিপের অনিয়ম নিয়ে গত ৩০ জুন বিভিন্ন গণমাধ্যমে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদ প্রকাশের পর গত রবিবার (৭ জুলাই) সকালে সরেজমিনে তদন্তের আসেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রতন কুমার দাশের নের্র্র্তৃত্বে এসময় উপ-সহকারী মো. রিয়াজ উদ্দিন ও কং-৪১৯ উপস্থিত ছিলেন। দুদক কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলেন। এসময় অনেক ভুক্তভোগী দুদক কর্মকর্তাদের কাছে তাদের অভিযাগ তুলে ধরেন। পরে দুদক কর্মকর্তারা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা রুহুল আমিনের কার্যালয়ে এসে ঘটনার সত্যতা যাচাই করেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন দুদক কর্মকর্তাদের জানান, তিনি কয়েক দিন আগে উপজেলা প্রশাসন নিয়ে ঘটনাস্থলে একটি গণশুনানির আয়োজন করেন। গণশুনানিতে ভুক্তভোগীদের দেয়া অভিযোগগুলো লিপিবদ্ধ করে নেয়া হয়েছে। শীঘ্রই অভিযোগগুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবে বলে জানান।
ভুক্তভোগীরা সার্ভেয়ার জাকির, মিজানূর রহমান ও মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ তুলেন। কিন্তু দুদক কর্মকর্তারা উপজেলা সেটেলম্যান্ট কার্যালয়ে গিয়ে ওই তিন কর্মকর্তাকে খুঁজে পাননি। এসময় সেটেলম্যান্ট কর্মকর্তা ওই তিন কর্মকর্তা ছুটিতে রয়েছে বলে দুদক কর্মকর্তাদের জানান।
দুদক চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উপ-সহকারী মো. রিয়াজ উদ্দিন জানান, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদটি দেখে গত ৭ জুলাই রবিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এসময় অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে মিরসরাই উপজেলা সেটেলম্যান্ট কার্যালয়ে গিয়ে গেলে বিভিন্ন অনিয়ম ধরা পড়ে।
দুদক চট্টগ্রাম কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক রতন কুমার দাশ জানান, করেরহাটে ডিজিটাল ভূমি জরিপে অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে। উপজেলা সেটেলম্যান্ট অফিসার দুদক কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এক সপ্তাহের সময় নিয়েছেন। এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্যা সমাধান না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।