জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে পূর্ণতা লাভ করে মহান স্বাধীনতা

ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভায় চবি উপাচার্য

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, মহাকালের মহানায়ক, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মহান স্থপতি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, রাজনীতির মহাকবি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে ১০ জানুয়ারি ২০২৪ বেলা ১১:০০ টায় চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার ও মাননীয় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের সকলকে সাথে নিয়ে চবি বঙ্গবন্ধু চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে চবি বঙ্গবন্ধু চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় ‘স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টার বিজয়ী বেশে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন’ শীর্ষক আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার এবং বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চবি মাননীয় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে।
মাননীয় উপাচার্য তাঁর বক্তব্যের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। মাননীয় উপাচার্য বলেন, “জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাঙালি জাতির জন্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের পবিত্র ভূমিতে পা রাখার মাধ্যমে মহান স্বাধীনতার পূর্ণতা লাভ করে। তদানীন্তন রেসকোর্স ময়দানে লক্ষ লক্ষ উৎফুল্ল জনতা সে সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উষ্ণ অভিবাদন জানিয়ে সংবর্ধিত করেন।” তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন আত্মবিশ^াসী মানুষ, তাঁর কথার মধ্যে সম্মোহনী ব্যক্তিত্ব খুঁেজ পাওয়া যায়। তিনি বাঙ্গালি জাতির মুক্তির জন্য নিজের পরিবার-পরিজনের মায়া ত্যাগ করে বিশ^কে তাক লাগিয়ে বাঙ্গালি জাতিকে এনে দিয়েছিলেন একটি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।” মাননীয় উপাচার্য আরও বলেন, “জাতির পিতার আত্মত্যাগকে ধারণ করে তাঁরই সুযোগ্য তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের মানসকন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনা পিতার স্বপ্নপূরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।” মাননীয় উপাচার্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বে প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান। মাননীয় উপাচার্য তাঁর বক্তৃতায় জাতীয় চারনেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশলক্ষ শহীদ ও ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট ঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে শহীদ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যবর্গের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত দু’লক্ষ জায়া, জননী, কন্যার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন।
চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ এর সভাপতিত্তে¡ এবং চবি প্রক্টর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নূরুল আজিম সিকদার এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন চবি ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম ও চবি ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস এর প্রফেসর ড. দানেশ মিয়া। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চবি আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ আল ফারুক, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর, চবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. সজীব কুমার ঘোষ, চবি জিন প্রকৌশল ও জীব প্রযুক্তি বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. নাজনীন নাহার ইসলাম, চবি অফিসার সমিতির সভাপতি রশিদুল হায়দার জাবেদ, চবি ক্লাবের (শহর) সম্পাদক ড. মোঃ মোরশেদুল আলম, চবি কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. সুমন (সুমন মামুন) ও চবি কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলী হোছাইন। আলোচনা সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন চবি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব হাফেজ আবু দাউদ মুহাম্মদ মামুন, পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন চবি রসায়ন বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর ড. তাপসী ঘোষ রায়, পবিত্র ত্রিপিটক থেকে পাঠ করেন চবি পালি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অরূপ বড়–য়া এবং পবিত্র বাইবেল থেকে পাঠ করেন চবি দর্শন বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী বিমল ত্রিপুরা। শুরুতে চবি ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে পরিবেশিত হয় জাতীয় সংগীত।
অনুষ্ঠানে চবি সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, অনুষদের ডিনবৃন্দ, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, কলেজ পরিদর্শক, হলের প্রভোস্টবৃন্দ, বিভাগীয় সভাপতি, ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, অফিস প্রধানবৃন্দ, অফিসার সমিতি, কর্মচারী সমিতি ও কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষার্থীবৃন্দ, বিশ^বিদ্যালয় পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।