‘রাউজানের জনগণ স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে চাই না’

রাউজান প্রতিনিধি ঃ নৌকা স্বাধীনতার প্রতিক, নৌকা উন্নয়নের প্রতিক নৌকায় ভোট দিয়ে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে প্রতিরোধ করুন । ৭০ সালের নির্বাচনে রাউজানবাসী নৌকা প্রতিকে ভোট দিয়ে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে বেগমান করেছিলো । ৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী মরহুম অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ নৌকা প্রতিক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয় । ৭০ সালের নির্বাচনের পর ৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয় । ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে ২লাখ মা বোনের সভ্রম হানির বিণিময়ে ৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীর কবল থেকে দেশ মুক্ত হয় । দেশের স্বাধীনতা লাভ করার পর ১৯৭৩ সালে রাউজান বাসী পুণরায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী মরহুম অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদকে সংসদ সদস্য নিবাচিত করে । ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্দ্বু শেখ মুজিবুর রহমান তার পরিবারের সদস্যদের নির্মম ভাবে হত্যা করার পর এদেশের রাষ্ট ক্ষমতায় অধিষ্টিত হয় স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি । স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার আলবদর ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত ও দুই লাখ মা বোনের সভ্রম হারানোর বিণিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের মন্ত্রী, এমপি হয়ে শহীদের রক্তের বিণিময়ে অর্জিত লাল সবুজের পতাকা তাদের গাড়িতে উড়িয়ে বেড়াত । জাতীর জনক বঙ্গবন্দ্বু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্য প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ আন্দেলন সংগ্রাম করে গত ৯৬ সালে রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় অধিষ্টিত হয় । ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে আবারো স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি রাষ্টিয় ক্ষমতায় অধিষ্টিত হয়ে বাংলাদেশকে সন্ত্রাস , জঙ্গিবাদ রাষ্ট্রে পরিণত করে । দেশের কোন উন্নয়ন কাজ করেনি । ২০০৮ সাল, ২০০৯ সাল, ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে জাতির জনকের কন্যা প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাুিধন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশকে জঙ্গীবাদ মুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, মাদকমুক্ত করেছে । দেশের ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করে বাংলাদেশকে বিশে^র কাছে একটি মডেল দেশ হিসাবে পরিচিত করেছে । ১৯৭৩ সালের সংসদ নির্বাচনের পর ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত সময়ে চট্টগ্রাম Ñ৬ রাউজান আসন থেকে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে রাউজানকে সন্ত্রাসের জনপদ হিসাবে গড়ে তোলে । রাউজানে কোন উন্নয়ন কাজ করেনি । ২০০১ সাল, ২০০৮ সাল, ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে রাউজানের সাধারন মানুষ আমাকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে নৌকা প্রতিকে ভোট দিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করে । আমি রাউজানের সংসদ সদস্য নিবাচিত হয়ে রাউজানকে সন্ত্রাস, মাদকমুক্ত করেছি । রাউজানের ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করেছি । আগামী ৩০ ডিসেম্বর রাউজান বাসী আবারো নৌকা প্রতিকে ভোট দিয়ে স্¦াধীনতা বিরোধী শক্তির সকল ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করবে । ১৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সারাদিন রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নের গশ্চি, পাচখাইন, ভ্রমদাশ পাড়া, কোয়ে পাড়া এলাকায় গনসংযোগ ও পথসভায় বক্তব্য প্রদানকালে মহাজোটের প্রার্থী এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী একথা বলেন । মহাজোটের প্রার্থী এবি এম ফজলে করিম চৌধুরীর গনসংযোগকালে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামাল উদ্দিন আহম্মদ, রাউজান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ, রাউজান উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রাউজান পৌরসভার ২য় প্যনেল মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, সাধারন সম্পাদক চেয়ারম্যান সৈয়দ আবদুল জব্বার সোহেল, বাগোয়ান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভুপেশ বড়–য়া, বাগোয়ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্বা সুনিল চক্রবর্তী, সাধারন সম্পাদক আরিফুল ইসলাম সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ্ব ।