শ্রমিক নেতাকে পিটিয়ে জখম

চকরিয়ায় প্রতিনিধি। কক্সবাজারের চকরিয়ায় পৌরসভা এলাকায় ইয়াবা সংক্রান্ত বিষয়ে অপরাধী কর্মকান্ডে বাঁধা দেয়ার জের ধরে ইসমাঈল হোসেন ধলু (৩৫) নামের এক শ্রমিক নেতাকে সন্ত্রাসী হামলায় বেদড়ক পিঠিয়ে ও মারধর করে আহত করা হয়েছে। আহত শ্রমিক নেতাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার (৫জুলাই) বিকালে চকরিয়া পৌরসভাস্থ ৩নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম বাটাখালী জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার ইসমাঈল হোসেন ধলু ওই এলাকার মৃত নুরুল কবিরের ছেলে ও চকরিয়া পৌরসভা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার ৪/৫ দিন পূর্বে চকরিয়া পৌরসভাস্থ ৩নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম বাটাখালী এলাকায় ইয়াবা সংক্রান্ত ও নানা অপরাধী কর্মকান্ড নিয়ে স্থানীয় ৮-১০জন যুবকের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তর্কে জড়িয়ে যায়। পরে ঘটনাটি স্থানীয় ভাবে পৌরসভাস্থ ৩নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাতে বিচার হয়। বর্তমানে ঘটনাটি কাউন্সিলর বিচারাধীন রয়েছে। ওই সংঘটিত ঘটনার বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করায় ও শত্রুতার জেরে শুক্রবার জুমার নামাজের পরে ওই এলাকার মৃত নুরুল কবিরের ছেলে শ্রমিকনেতা ধলু তার মায়ের কবর জেয়ারত করতে গেলে ৭/৮ জন দূর্বৃত্ত যুবক দেশীয় তৈরি ধারালে অস্ত্রনিয়ে অতর্কিত ভাবে শ্রমিক নেতা ধলুর উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে বেদড়ক পিঠিয়ে ও মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়। স্থানীরা ঘটনাস্থল থেকে আহত ধলুকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি টীম থানার উপপরিদর্শক (এস আই) কামরুল হাসানের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। হামলার শিকার আহত শ্রমিক নেতা ইসমাঈল হোসেন ধলু বলেন, ৪/৫ দিন পূর্বে পশ্চিম বাটাখালী এলাকায় স্থানীয় হাবিব, দিদার, নাছির মেস্ত্রী, কফিল, কামাল, ছোটন, এমরান, হামিদসহ আরো কয়েক দূর্বৃত্ত যুবক মিলে ঈদগাঁহ থেকে দুই ইয়াবা ব্যবসায়ীকে মোঠোফোনে ইয়াবা কেনার কথা বলে ডেকে আনেন তারা। ওই ইয়াবা ব্যবসায়ী তাদের সাথে ইয়াবা নিয়ে আসলে ওই যুবকরা তাদেরকে জিম্মি করে পাঁচশত পিস ইয়াবা কেড়ে নেয়। এ ঘটনার বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করলে তারা আমার উপর চড়াও হয়। এলাকায় কোন ধরণের অবৈধ ও অপরাধী কর্মকান্ড দেখলে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা এবং প্রশাসনকে অবহিত করা হবে বলে হুশিয়ার করলে অভিযুক্ত যুবকরা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। এরই জের ধরে শুক্রবার জুমার নামাজের পরে মায়ের কবর জিয়ারত করতে গেলে শত্রুতার জেরে স্থানীয় ছোটন, হামিদ ও সোলতান আহমদের ছেলে কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে ৮-১০জন সন্ত্রাসী যুবক অতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়ে মারধর করে গুরুতর আহত করেন। এ ঘটনায় আক্রান্ত পরিবারের পক্ষথেকে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানায়। ঘটনার বিষয়টি জানতে স্থানীয় কাউন্সিলর বশিরুল আইয়ুবের কাছে তার ব্যবহ্নত মোঠোফোনে একাধিক কল করার পরও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, হামলার ঘটনার বিষয়ে থানায় এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। ঘটনাটি শুনার পরেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।