গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার গঠনের জন্য নির্বাচনের বিকল্প কিছু নেই

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি চট্টগ্রামের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে শাহরিয়ার কবির

বিএনপি-জামায়াত চক্র গণতন্ত্রের শত্রু, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শত্রু : রানা দাশগুপ্ত

স্বাধীনতাবিরোধী, মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রতিনিধি জামায়াত-বিএনপি চক্রের নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র কঠোরভাবে প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়ে সম্মেলনের প্রধান অতিথি একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সভাপতি লেখক-সাংবাদিক, চলচ্চিত্র নির্মাতা শাহরিয়ার কবির বলেছেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা বা না করা রাজনৈতিক দলগুলোর নিজস্ব বিষয় বরং তাদের গণতান্ত্রিক অধিকারও বটে। তবে সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের হুমকি দেয়া এবং নির্বাচন বানচালের জন্য হরতাল-অবরোধের নামে বাস, ট্রেনে আগুন লাগিয়ে জ্যান্ত মানুষ পুড়িয়ে মারা কিংবা চিরদিনের জন্য পঙ্গু করে দেয়া পৃথিবীর কোনও দেশের গণতন্ত্র অনুমোদন করতে পারে না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার পরিবর্তন বা সরকার গঠনের জন্য নির্বাচনের বিকল্প কিছু নেই। নির্বাচন কীভাবে হবে এ বিষয়ে সব দেশের সংবিধানেই স্পষ্টভাবে বলা থাকে। সংবিধান যে কোনও দেশের সার্বভৌম মর্যাদার প্রতীক। ১৯৪১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত জামায়াত ইসলামী যে কোনও নির্বাচনকে হারাম বলে ফতোয়া দিয়েছিল। বিএনপির জন্ম হয়েছে ক্যান্টনমেন্টে, ’৭১ ও ’৭৫-এর ঘাতক ও তাদের সহযোগীদের দ্বারা। সংবিধান স্থগিত করে বিএনপি অগণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতায় এসেছে। যে গণতন্ত্রের জন্য তারা এখন মড়াকান্না করছে। এই গণতন্ত্র বার বার হত্যা করতে চেয়েছে বিএনপি-জামায়াত চক্র।
আওয়ামী লীগের রাজনীতি সম্পর্কে শাহরিয়ার কবির বলেন, এটা নিশ্চিত যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদেও আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করবে এবং সংসদে শক্তিশালী কোনও বিরোধী দল থাকবে না। এটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য বড় চ্যালেঞ্জও বটে। জাতীয় সংসদে শক্তিশালী বিরোধ দল যেহেতু থাকবে না, সচেতন নাগরিক সমাজকে কার্যকর বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করতে হবে। আর্থ-সামজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য প্রদর্শন করলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ বিগত আমলে অনেক সমঝোতা ও আপস করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রাষ্ট্র পরিচালনা এবং নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সরকারের উপর নাগরিক সমাজের চাপ বৃদ্ধি করতে হবে। দ্রুত ’৭১-এর গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াত ইসলামী এবং তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোসহ পাকিস্তানি হাই কমান্ডের বিচার সম্পন্ন করতে হবে। শিক্ষানীতি ও সংস্কৃতিনীতিসহ প্রশাসনের সর্বক্ষেত্রে ৩০ লক্ষ শহীদের স্বপ্ন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতিফলন থাকতে হবে।
গত ১৭ ডিসেম্বর, রবিবার, বিকেল ৪টায়, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে অনুষ্ঠিত সংগঠনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহরিয়ার কবির এসব কথা বলেন।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক, ভাষাসৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে ফজলুল হক চেয়ারম্যানের সুযোগ্য পুত্র লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালি’র সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউটর ও বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপ-মন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুছ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সাধারণ সম্পাদক জননেতা মফিজুর রহমান, জাগরণ সাংস্কৃতিক স্কোয়াড নির্বাহী সভাপতি আবৃত্তিশিল্পী মোঃ শওকত আলী। প্রধান বক্তা ছিলেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক ও চিকিৎসা সহায়ক কমিটি সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডা. মামুন আল মাহাতাব স্বপ্নীল। সূচনা বক্তব্য দেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, চট্টগ্রাম সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আলা উদ্দিন।

সদস্য সচিব মো. অলিদ চৌধুরী, মিথুন মল্লিক ও অনিন্দ্য অথৈ’র সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা সংগ্রামী মানিক চৌধুরীর সুযোগ্য সন্তান রাজনীতিক দীপংকর চৌধুরী কাজল, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নেতা শ্যামল কুমার পালিত, রাজনীতিক স্বপন সেন, প্রফেসর সিরাজুল আলম, সাংবাদিক বেলায়েত হোসেন, নারীনেত্রী জেসমিন সুলতানা পারু, জাগরণ সাংস্কৃতিক স্কোয়াড কেন্দ্রীয় নেত্রী পুষ্টিবিদ হাসিনা আক্তার লিপি, সাবেক চসিক কাউন্সিলর রেহানা বেগম রানু, শিক্ষিকা সৈয়দা তাহমিনা সুলতানা, সংগঠনের জেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন, মোঃ হেলাল উদ্দিন, মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আলহাজ্ব কামাল উদ্দিন, হাবিব উল্ল্যা চৌধুরী ভাস্কর, অ্যাডভোকেট মিলি চৌধুরী, রুকসানা পারভীন রুবা, এ.কে.এম জাবেদুল আলম সুমন, আবু সাদাত মো. সায়েম, সুমন চৌধুরী, মিথুন মল্লিক, এম. মান্নান শিমুল, রুবেল আহমেদ বাবু, হাজী মো. ইব্রাহিম, আবু সাইদ সুমন, সাংবাদিক সুরেশ কুমার দাশ, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, অসিত বরণ বিশ্বাস, রাজীব চৌধুরী রাজু, সুচিত্রা গুহ টুম্পা, আবু সুফিয়ান, মুক্তা হাওলাদার, দিপু বড়ুয়া, ইমন শীল, রকিব হাসান, মো. জামশেদুল ইসলাম চৌধুরী, সুমন শাহেদ সিদ্দিকী, জয়নুদ্দীন আহমেদ জয়, ইঞ্জিনিয়ার শুভ্র দেব কর, ইকবাল বাহার চৌধুরী, লুৎফুর রহমান জুয়েল, মাইনু উদ্দিন হোসেন, সৈকত দাশ, আকবর হোসেন, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন খোকন, সুমন গুহ, রাজীব দাশ, শ্যাম ভট্টাচার্য, মুহাম্মদ আকতার হোছাইন, অ্যাডভোকেট মো. কামাল হোসাইন, অ্যাডভোকেট শান্তুনু রায়, অ্যাডভোকেট শুভ ধর, মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, মো. লুৎফর রহমান জুয়েল, জাহাঙ্গীর চৌধুরী, এম শাহাদাত নবী খোকা, কাজী মোঃ সরোয়ারে আলম, মো. আছিয়া, প্রদীপ কুমার দাশ, কাজী মাহামুদুল হাসান তুহিন, রবিউল হাসান, টুটুল দাশ, আবদুল রহমান, মোহাম্মদ আবু শাহেদ, মো. আজগর আলী, তাপস কুমার দাশগুপ্ত, নেওয়াজ খান, শিবু প্রসাদ চৌধুরী, নিউটন ঘোষ, মো. সোহেল, মো. আবদুল কাদের সুমন, তন্ময় দাশ গুপ্ত, রতন সরকার, মুহাম্মদ পারভেজ আলম, মো. ইমরান খান, অনিন্দ্য দেব, তন্ময় আচার্য্য, আতিকুর রহমান, মো. কামরুজ্জামান আজাদ দিপু, তানবীর আহমেদ রিমন, জয়া চৌধুরী, আমেনা বেগম, শারমিন আকতার, শামসুর, খোদাজা বেগম, কবিতা আকতার, বাঁশখালী থানা শাখার সভাপতি লায়ন শেখর দত্ত, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন, আকবরশাহ্ থানা শাখার আহ্বায়ক সাহাব উদ্দিন (আঙ্গুর), বায়েজিদ থানা শাখার সভাপতি প্রফেসর ড. মোজাহের আলম, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের, কাযী মুহাম্মদ রোকনুজ্জামান, সহ-সভাপতি রনজিত চক্রবর্তী, সহ-সম্পাাদক মো. আবু তালেব, ডবলমুরিং থানা শাখার আহ্বায়ক হুমায়ন ছগীর মহন, সদস্য সচিব জাহেদুল আলম মুরাদ, পাহাড়তলী থানা শাখার আহ্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর বেগ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান স্কোয়াড, চট্টগ্রাম মহানগরের কাজী মুহাম্মদ রাজিশ ইমরান, আরাফাতুল মান্নান ঝিনুক, আমিনুল ইসলাম, জাফরুল হক চৌধুরী, সিরাজ বিন আহমেদ, সৈয়দ গোলাম কাদের, এস.এম ইশতিয়াক আহমেদ, কামরুন হুদা পাভেল, মো. রায়হান, নাজমুল হক, রাকিবুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সাবেক সদস্য প্রণব দাশ, চট্টগ্রাম বধির উন্নয়ন সংঘের সহ সভাপতি স্বাধীন বিশ্বাস, ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো, রাশেদ প্রমুখ।
উদ্বোধকের বক্তব্যে অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত  বিএনপি-জামায়াত চক্রকে গণতন্ত্রের শত্রু, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শত্রু অভিহিত করে বলেন, সম্মেলন এমন একটি সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে গোটা দেশ ও জাতি এক ক্রান্তিকালের মুখোমুখী। একদিকে সরকারি দলের প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ঢাকায় আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বলেছেন, দেশকে পরাজিত শক্তির হাতে কখনো তুলে দেওয়া হবে না। অন্যদিকে, বাম-ডানের সম্মিলিত সরকার বিরোধী দল নিয়মতান্ত্রিক-গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পথ ছেড়ে অবরোধ-হরতালের নামে সহিংসতায় মেতে উঠেছে এবং সমস্বরে হুংকার দিয়ে বলছে, ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনকে কোনভাবেই হতে দেয়া হবে না। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন এই জটিল পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বিশে^র পরাশক্তিসমূহ ঠিক ’৭১-এর মতোই পক্ষে-বিপক্ষে ইতোমধ্যে অবস্থান নিয়েছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় আমরা আবারো মুক্তিযুদ্ধের মতোই আরেক মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখিন হতে চলেছি এবং এর জন্য প্রস্তুতি নেয়ার সময় এখনই।
ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিষয়ে একটি পরীক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত সংগঠন। দীর্ঘ ৩১ বছরের ধারাবাহিক সংগ্রামের অনেক প্রাপ্তি রয়েছে এই সংগঠনের। শীর্ষস্থানীয় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে এই সংগঠনের অনন্য ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি সাংস্কৃতিক বিপ্লবের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণে তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।
জাগরণ সাংস্কৃতিক স্কোয়াডের নির্বাহী সভাপতি, সাবেক সচিব আবৃত্তিশিল্পী মো. শওকত আলী বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশে অপসংস্কৃতি এবং মৌলবাদী চিন্তা চেতনার যে আগ্রাসন চলছে তার বিপরীতে মুুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ এবং অসাম্প্রদায়িকচেতনাকে ধারণ করে বাঙালি সংস্কৃতির মূলধারাকে চর্চা এবং লালন করার জন্য জাগরণের আত্মপ্রকাশ ঘটে।
আমরা জাগরণ সাংস্কৃতিক স্কোয়াড শিল্প-সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখা নিয়ে কাজ শুরু করেছি। যেমন-যাত্রা, নাটক, সংগীত, আবৃত্তি, চারুকলা, নৃত্য ইত্যাদি। বর্তমানে বাংলার ঐতিহ্য যাত্রা শিল্প হারাতে বসেছে। লাল, নজরুল, রবীন্দ্রনাথের চর্চা সংকুচিত হচ্ছে। গণমানুষের কথা নিয়ে নাটকও সেরকম হচ্ছে না। জাগরণ সাংস্কৃতিক স্কোয়াড দেশব্যাপী শিল্পের এই শাখায় কাজ করবে। তরুণ প্রজন্মকে যুক্ত করার জন্য প্রশিক্ষণ, অনুষ্ঠান আয়োজন এবং চর্চার ব্যবস্থা করবে। যাতে করো আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ আমরা গড়তে পারি।
সম্মেলন শেষে দ্বিতীয় পর্বে ভাষাসৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে ফজলুল হকের সুযোগ্য সন্তান লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালিকে সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক অধ্যাপক ড. আলা উদ্দিনকে কার্যকরী সভাপতি, সাবেক ছাত্রনেতা অলিদ চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক এবং শ্রমিক আন্দোলনের প্রবাদ পুরুষ রহমত উল্ল্যা চৌধুরীর সুযোগ্য সন্তান রুবা আহসানকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি নারীনেত্রী রেহানা কবির রানুকে সাধারণ সম্পাদক করে জাগরণ সাংস্কৃতিক স্কোয়াড চট্টগ্রামের ২১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী পরিষদের নাম প্রস্তাব করা হয়।
জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া সভায় সংগঠনের প্রয়াত নেতাদের স্মরণে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।