ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেছেন, চট্টগ্রামে বিশ্বমানের উচ্চশিক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি (ইডিইউ) প্রতিষ্ঠিত হয়। ইডিইউ চট্টগ্রামবাসীকে কথা দিয়েছিলো- বিশ্বের নামকরা সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি দিয়ে এখানে পাঠদান পরিচালনা করা হবে। ইডিইউ সেই কথা রেখেছে। বর্তমানে নিয়মিতভাবেই বিদেশি বিশেষজ্ঞরা ক্লাস-সেমিনার-কর্মশালা পরিচালনা করছেন ইডিইউতে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগ আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘কম্পেয়ারেটিভ কালচারাল স্টাডিজ’ বিষয়ক এ কর্মশালা পরিচালনা করেন বিখ্যাত দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. অমিতাভ চক্রবর্তী।
সাঈদ আল নোমান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সাহিত্য-সংস্কৃতিকে দেখার বা বিচারের একটি জনপ্রিয় ধারা হয়ে উঠেছে কম্পেয়ারেটিভ স্টাডিজ বা তুলনাত্মক পাঠ। ভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে তুলনামূলক বিচারের মাধ্যমে এদেরকে জানা, সংজ্ঞায়িত করার তত্ত্ব এটি। দুটো ভিন্ন অঞ্চলের সাহিত্যের তুলনাত্মক বিশ্লেষণের মাধ্যমে আমরা এসব অঞ্চলের সংস্কৃতি, মানুষের জীবনযাপন, দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে জানতে পারি।
কর্মশালায় সংস্কৃতির পাঠে সাহিত্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম বলে উল্লেখ করেন অমিতাভ। তিনি বলেন, জার্মান সাহিত্যিক গ্যেটে তার এক প্রবন্ধে বলেছিলেন, একটি নির্দিষ্ট ভাষাগোষ্ঠীতে আবদ্ধ না থেকে অন্যান্য ভাষায় কি সৃষ্টি হচ্ছে, সেদিকে তাকাতে হবে। এরপরই সাহিত্যের বিশ্বায়ন শুরু হলো। যার ফলশ্রুতিতে তুলনাত্মক পাঠের প্রয়োজনীয়তাও তৈরি হয়। পরবর্তীতে অ্যাকাডেমিকভাবে এ বিষয়টির পত্তন ঘটে গত শতকের মাঝামাঝি সময়ে এসে। এর প্রভাবে সাম্প্রতিক কালে সাহিত্যের সংজ্ঞাও বদলে গেছে।
ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান বলেন, জ্ঞানের বিশাল ক্যানভাসে প্রতিনিয়তই নতুন কিছু না কিছু যুক্ত হচ্ছে। সংযোজন-বিয়োজনে পরিবর্তিত হচ্ছে পুরনো চিন্তাধারা। তাই আমাদের শিক্ষার্থীদের জণ্য এ ধরণের কর্মশালা ও সেমিনারের আয়োজন নিয়মিতভাবে করা হয়। যাতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের জ্ঞানকে চালিত ও আধুনিক রাখতে পারে।
ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক সাবরিন সরওয়ারের সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সামস উদ-দোহা, স্কুল অব লিবারেল আর্টসের অ্যাসোসিয়েট ডিন মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. মো. নাজিম উদ্দিন ও স্কুল অব বিজনেসের অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. মোহাম্মদ রকিবুল কবির প্রমুখ।
