কাশ্মীরে হাউস বোটে অগ্নিকাণ্ডের নিহত তিনজনের বাড়ি চট্টগ্রাম

শফিউল আলম, রাউজানঃ ভারতের কাশ্মীরের শ্রীনগরের ডাল লেকে হাউস বোটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত তিনজনের মধ্যে দুজন গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলী।

এদের মধ্যে একজন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এবং অন্যজন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সাবেক শিক্ষার্থী।

নিহত অপরজন ছিলেন ঠিকাদার। এ ঘটনায় আরও সাতজন দগ্ধ হয়েছেন।
শনিবার (১১ নভেম্বর) স্থানীয় সময় ভোর সোয়া পাঁচটার দিকে ডাল লেকের ৯ নম্বর ঘাটের কাছে সাফিনা নামের একটি হাউস বোটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহত তিন পর্যটক হলেন, রাঙামাটি গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অনিন্দ্য কৌশল, গণপূর্ত বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ইমন দাশগুপ্ত ও ঠিকাদার মো. মাইনুদ্দিন। মৃত্যুবরনকারী তিনজনের মধ্যে দুইজনের বাড়ী রাউজানে। মঈন উদ্দিন চৌধুরী রাউজানের কদলপুর ইদ্রিস খান চৌধুরীর বাড়ীর চট্টগ্রাম ওয়াসার অবসর প্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজ্জাফর আহম্মদ চৌধুরীর পুত্র।

এদের মধ্যে অনিন্দ্য কৌশল চুয়েটের ২০০৪-০৫ শিক্ষাবর্ষের পুরকৌশল বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী এবং ইমন দাশগুপ্ত কুয়েটের ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের পুরকৌশল বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী। ইমন দাশ গুপ্ত রাউজান পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের ঢেউয়া পাড়া এলকার প্রয়াত ব্যংক কর্মকর্তা রামকৃষ্ণ দাশ গুপ্তের পুত্র ।

নিহত অনিন্দ্য কৌশলের বাবা স্বপন কুমার নাথ বলেন, অনিন্দ্য ৩ নভেম্বর তীর্থের উদ্দেশ্যে ভারতে যান। দুই এক দিনের মধ্যেই তার ফেরার কথা ছিল। তারা ভারতে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। তবে এখন পর্যন্ত সেখানকার প্রশাসন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।

আলমগীর নামে অনিন্দ্য কৌশলের বন্ধু বলেন, অনিন্দ্য কৌশল আমার ছোটবেলার বন্ধু। শনিবার তার আত্মীয় স্বজনদের মাধ্যমে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। সে খুব মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। তার এমন চলে যাওয়া আমাদের বন্ধু মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

অনিন্দ্য কৌশলের আরেক বন্ধু ও চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বশির জিসান বলেন, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা একই বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলাম। আমরা খুব কাছের বন্ধু। আমাদের ব্যাচের একটা গ্রুপ আছে সেখানে মৃত্যুর খবর শুনে বিশ্বাস করতে পারি নি। পরে যখন তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলি তখন বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। আমাদের বন্ধুকে হারিয়ে আমরা শোকাহত।