গাজায় আবাসিক ভবনে বোমা হামলা, মৃত্যু বিভীষিকা

শনিবার দিবাগত রাতে গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেয় ইসরাইল। এর মধ্যে সেখানে মুহুর্মূহু বোমা হামলা চালাতে থাকে। ঘনবসতিপূর্ণ ও ফিলিস্তিনের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা এই জনপদে তখন মৃত্যু বিভীষিকা। একে তো অন্ধকার। তার মধ্যে দফায় দফায় বোমা হামলা। যারা নিরপরাধ মানুষ তারাও এর শিকার। বোমার বিকট বিস্ফোরণে অনেক আবাসিক ভবন মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। এর মধ্যে আছে ১৪ তলাবিশিষ্ট একটি টাওয়ার। এতে গাজা সিটিতে হামাসের অফিস সহ ছিল কয়েক ডজন এপার্টমেন্ট।

স্থানীয় সময় রাত তিনটার দিকে গাজা সিটির একটি মসজিদ থেকে মাইকে ঘোষণায় বলা হয় পার্শ্ববর্তী ভবনগুলোতে বোমা হামলা চালানো হবে। অবিলম্বে লোকজনকে সরে যেতে হবে।

এর কয়েক মিনিটের মধ্যেই একটি ৫তলা ভবনকে ধুলোবালির ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে ইসরাইলের বোমা হামলা। ওই অন্ধকারের মধ্যেই নিহত ও আহতদের দেহ নিয়ে স্থানীয়রা দৌড়াতে থাকেন হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতাল রোগীতে ভরে যায় সামান্য সময়ের মধ্যেই। দেখা দেয় ওষুধপত্র ও সরঞ্জামের সঙ্কট। তখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, নিহত হয়েছেন ২৩২ জন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৭০০ মানুষ।
হামাসের রাজনীতি বিষয়ক ব্যুরোর উপপ্রধান সালেহ আল আরোউরি বলেন, ইসরাইলের সিনিয়র বেশ কিছু সেনা সদস্য সহ বিপুল সংখ্যক মানুষকে আটক করেছে হামাস। জেল থেকে সব ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিতে বাধ্য হবে ইসরাইল, এমন সংখ্যক তাদের সদস্যকে হামাস আটক করেছে। তিনি আরও বলেন, আমরা ইসরাইলের অনেক সেনা সদস্যকে অভিযানে হত্যা করেছি এবং তাদের অনেককে আটক করেছি।