সরাইলে টর্নেডোর আঘাতে লন্ডভন্ড গ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে টর্নেডোর আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে একটি গ্রাম। মুহুর্তে উড়িয়ে নিয়ে গেছে ১৫-২০ টি বসতঘর। ভেঙ্গেছে ডানকান নামক একটি কোম্পানীর প্রতিরক্ষা দেয়াল। খোলা আকাশের নিচে এখন মানবেতর জীবন-যাপন করছেন ১৬ টি পরিবার। শুক্রবার বিকালে উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের তিতাস নদীর পাড় ঘেষা লাল মিয়ার পাড়া (মেরাতলি) গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে গেছে এই টর্নেডো। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় লোকজন জানায়, গত দুই দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে সরাইলের সর্বত্রই। শুক্রবারও বিরামহীন বৃষ্টি হচ্ছিল। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে হঠাৎ করে সরাইলের আকাশ কাল হয়ে চারিদিকে ঘোর অন্ধকার নেমে আসে। আকস্মিক শাহবাজপুরে তিতাস নদীর উপর থেকে কাল ধূঁয়ার মত কুন্ডলী ঘূর্ণায়মান অবস্থায় নদীর পাড় সংলগ্ন গ্রাম লাল মিয়ার পাড়ার দিকে আসতে থাকে। বিকট শব্দে মূহুর্তের মধ্যে ছোট ওই গ্রামটিতে আঘাত হানে টর্নেডো।

মাত্র কয়েক মিনিটের টর্নেডো লন্ডভন্ড করে ফেলে গ্রামটিকে। বসতঘর, দোকানপাট উড়িয়ে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঝুলিয়ে দেয়। উপড়ে পড়ে গাছপালা। টর্নেডোর এই তান্ডবে গ্রামের লোকজন দিকবিদিক ছুটাছুটি শুরু করেন। বসতঘর হারিয়ে ওই গ্রামের প্রায় ১৬টি পরিবার এখন খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। গ্রামের কোথাও বিদ্যুৎ নেই। বসতঘর হারিয়েছেন লাল মিয়ার পাড়ার আকরাম আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, সমুজ আলীর ছেলে করম আলী, মহব্বত আলীর ছেলে শাহানুর ইসলাম চাইনু, তমুজ উদ্দিনের ছেলে আজমান, মনা মিয়ার ছেলে ধন মিয়া, আব্দুল বাছির, কালা মিয়া প্রমূখ। ঘটনার পরপরই ক্ষতিগ্র্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন জেলা প্রশাসন। শাহবাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. খায়রূল হুদা চৌধুরী বলেন, টর্নেডোতে ওই গ্রামের প্রায় ১৫-২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পার্শবর্তী ধীতপুর গ্রামেও ২/৩ টি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ১৪-১৫ টি পরিবারের বসতঘর লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তাৎক্ষনিক ভাবে প্রত্যেক পরিবারকে ৩০ কেজি করে জি আর-এর চাউল দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক্ পরিবারকে ২/৩ বান্ডিল করে টিন দেওয়া হবে। সাথে প্রত্যেক বান্ডিলের সাথে ৩ হাজার করে টাকা দেয়া হবে।