অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদনের সময়সীমা আরো এক সপ্তাহ বাড়ানো হতে পারে। শনিবার (২৯ জুন) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত ‘তারুণ্যের ভাবনায় আওয়ামী লীগ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এ কথা জানান তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এবং প্রচার ও প্রকাশনা কমিটির সভাপতি এইচ টি ইমাম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল প্রমুখ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ৩০ জুন অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদনের সময়সীমা শেষ হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমাদের কাছে প্রায় ৮ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে আগের ছিল ৩ হাজার, আর নতুন করে জমা পড়েছে ৫ হাজার। আরো আবেদন জমা পড়বে, তাই সময়সীমা এক সপ্তাহ বাড়ানোর চিন্তা করা হচ্ছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, অনলাইন নিবন্ধনের জন্য যে আবেদন পড়েছে সেখান থেকে যাচাই- বাছাই করে অনুমোদন দেওয়া হবে। আমরা শিগগির এ কাজটি সম্পন্ন করবো।
সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানো নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা মতামত প্রকাশের দুয়ার অবারিত করে দিয়েছি। আগে মানুষ কোনো কিছু জানার জন্য পত্রিকা-টিভির শরণাপন্ন হতো। এখন মানুষ ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে জানতে পারছে। আগে ৪০-৫০ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতো। এখন দেশে ৯ কোটি লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। তবে গুজব বিশ্বব্যাপী সমস্যা। আমরা মানুষের অধিকার অবারিত থাকুক এটাই চাই। তবে একজনের অধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে অন্যজনের অধিকারে কোনো হস্তক্ষেপ হচ্ছে কি-না, সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।
তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া যখন গুজব ছড়াবে, তখনই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে যে গুজব ছড়াচ্ছে, তা ব্যক্তি বা সমাজিক জীবনে কতটুকু হস্তক্ষেপ করছে সে বিষয়টিও বিবেচনায় আনা হবে। এজন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন হয়েছে। কেউ যদি গুজব ছড়ায় এর মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে।
মাদকের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে। দলের মধ্যে যদি কোনো নেতা মাদকে জড়িত থাকেন, তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ছাত্র রাজনীতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনীতি হলো একটি ব্রত। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কিছু সামাজিক অবক্ষয়ের কারণে ছাত্র রাজনীতিতেও অবক্ষয় হয়েছে। এজন্য একজন ছাত্রকে পড়াশোনা করে রাজনীতিতে আসতে হবে। আর রাজনীতি করতে হলে পরিবারের উর্ধ্বে এসে রাষ্ট্রকে পরিবার ভাবতে পারলে প্রকৃত রাজনৈতিক নেতা তৈরি হবে।
নারী ক্ষমতায়নের বিষয়ে তিনি বলেন, নারীদের উন্নয়নে দু’টি বিষয় রয়েছে। একটি হলো নারী ক্ষমতায়ন ও অপরটি নারীর অর্থনৈতিক মুক্তি। নারীর ক্ষমতায়নে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। নারীর অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। যেমন, স্বামী পরিত্যক্তা নারীর ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, বিধবা ভাতা ইত্যাদি। পাশাপাশি সাসাজিক নিরাপত্তা বলয়ও গড়ে তোলা হয়েছে।