স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যা, ৫ জনের যাবজ্জীবন

সন্দ্বীপ থানার রহমতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২৮ আগস্ট) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক জয়নাল আবেদীন এই রায় দেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মো. আকবর হোসেন প্রকাশ হাতকাট আকবর (২৮), মো. মোশাররফ হোসেন প্রকাশ লিটন (২৫), মো. নুরুল আবছার প্রকাশ স্বপন (৩২), আবুল বশর প্রকাশ বশর (৪৭) ও মো. সুমন (৩০)।

ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জিকো বড়ুয়া বলেন, নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রায়ের সময় আকবর হোসেন, মোশাররফ হোসেন ও নুরুল আবছার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আবুল বশর ও সুমনের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, সন্দ্বীপ উপজেলার রহমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী নাসরিন (ছদ্মনাম) ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রতিদিনের মতো সকালে স্কুলে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হয়। যথা সময়ে স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা স্কুল ও আত্মীয়-স্বজনের বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেন। কিন্তু কোথাও খুঁজে না পেয়ে সন্দ্বীপ পৌরসভার নয় নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে অবগত করেন। পরের দিন দুপুরের দিকে নাসরিনের বাড়ির নতুন পাড়ার পশ্চিম পাশে দুই নম্বর সুচনা কলোনীর পাশের জমির হাটু পানিতে নাসরিনের মরদেহ পড়ে আছে দেখে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। এই ঘটনায় ছাত্রী মা পারভিন আক্তার বাদী হয়ে সন্দ্বীপ থানায় অজ্ঞাতের বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলায় তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৬ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এরপর ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলায় নয় জনের সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়।