সিইউএফএল সড়কে ধূলো স্নান

আনোয়ারায় বঙ্গবন্ধু টানলের সংযোগ সড়কের জন্য বালু ভর্তি ট্রাক চলাচল ও সিইউএফএল সড়কের দুই পাশে বালু ব্যবসায়ীদের কারণে পুরো সড়ক জুড়ে বালুর ধুলায় পথ চলা দায় হয়ে পড়েছে সিইউএফএল সড়কের পথচারীদের।

ফলে যাত্রী ও পথচারীরা চোখ মুখ বন্ধ করে নাক ধরে পথ চলতে হচ্ছে। প্রতিনিয়ত পথচারী ও যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

বালু ভরাট করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ট্রাকে ট্রাকে বালি আনা নেওয়া হচ্ছে, এগুলোতে কোন প্রকার ছাউনী কিম্বা ত্রিপল না থাকায় তা বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের দোকান ও বাড়িঘড়ের নাজুক অবস্থা তৈরি করছে। রাস্তায় বের হলেই ধূলো-বালির মাখামাখি অবস্থা হতে হচ্ছে পথচারি ও যাত্রীদের। সবখানে ধুলোয় নাকাল অবস্থা। পথচারীদের নাক চেপে চলাচলের দৃশ্য যেন স্বাধাবিক ঘটনা। অনেকেই আবার মাক্স পরে চলাফেরা করছেন। এই এলাকার রয়েছে বেশ কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শ্রমিক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শত শত ছাত্র ছাত্রী ও পথচারীরা ধুলার হাত থেকে রক্ষা পেতে নাকে কাপড় গুঁজে অথবা মার্ক্স ব্যবহার করে পথ চলতে হচ্ছে। সড়কের আশপাশের দোকান ঘরবাড়ী ও গাছপালা ধুলার আস্তরণে বিবর্ণ হয়ে গেছে।
সরজমিনে দেখা যায়, সড়কজুড়ে ছোট বড় অসংখ্য গর্ত। যানবাহন যাওয়ার সময় ধুলাবালু উড়ে কিছুই দেখা যায় না। প্রতিনিয়ত বালুর মধ্যদিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে তাদের। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিল্প প্রতিষ্ঠান ও পশ্চিম আনোয়ারা মানুষের নিত্যদিনের চলাচলের একমাত্র এই পথ। তাই বাধ্য হয়ে চলাচল করছে তারা। বালুর ধূূূূলার সঙ্গে এ যেন নিত্য বসবাস। সড়কের মধ্যে চলাচলরত সকল যানবাহন ধীরগতিতে চলাচল করায় সৃষ্ট হচ্ছে যানজট। ধুলায় স্বাস্থ্য
ঝুঁকি বাড়ছে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ দুষণ হচ্ছে। ভাঙ্গাচোরা ও খানাখন্দ রাস্তায় টানেলের রাস্তার বালু ভরাট এবং রাস্তার দুপাশে বালু ব্যবসায়ীদের কারনে ধুলার পাশাপাশি শুষ্ক মৌসুম হওয়ার ধুলার প্রকোপ আরও বেড়েছে। আনোয়ারা
বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষে পড়ুয়া ছাত্র সাহাব উদ্দিন বলেন, প্রতিদিনই ধুলা-বালির মধ্য দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। যে কারণে মাস্ক ব্যবহার করে চলাচল করতে হচ্ছে। এই রাস্তায় যে পরিমাণ ধুলা এতে করে চলাচল করাই কঠিন।
যদি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়মিত পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করতেন তাহলে হয়ত আমাদের এই দূর্ভোগ পোহাতে হত না। তার দাবী, সড়কের দুপাশে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করা হলে তাহলে কিছুটা ধুলাবালি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। এলাকার বাসিন্দারা ধুলার জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন । কেবল ধুলোর কারণেই সড়কে এখন মাস্ক পরে চলাচল করছেন অনেকেই। তারপরও সর্দি -কাঁশি ও স্বাস কষ্ঠসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এলাকার বাসিন্দারা। সিইউএফএল সড়কের সিএনজিচালিত অটোরিক্সা চালক, মো: কায়ছার বলেন, পেটের দায়ে গাড়ি চালায়,
তাই কিচ্ছু করার নেই। ধুলোবালির মধ্যে আমরা প্রতিদিন গাড়ী চালাতে হচ্ছে। প্রতিদিন অন্তত দুবার পানি চিটানোর ব্যবস্থা করা হলে আমরা কিছুটা রক্ষা পাবো। এ ব্যপারে বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রকৌশলী খাইরুজ্জামানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, রাস্তায় যেন কম ধুলাবালি উড়ে সেজন্য সড়কে পানি ছিটানো এবং নজর রাখতে ঠিকাদারকে দ্রুত নির্দেশনা দেওয়া হবে। সড়কের দু-পর্শ্বে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদের ব্যপারে সিওএফএল এর ভূমি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম লাভলু বলেন, বালু ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করে দ্রুত রাস্তাটির সংষ্কারের উদ্দ্যেগ নেওয়া হয়েছে